লাইজুল ইসলাম : [২] হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, যারা ভিসা পেয়েছেন তারা যেতে পারবেন কিনা বোঝা যাচ্ছে না। বিমানবন্দরেও হাজীদের বোর্ডিং পাস দেওয়া হচ্ছে না।
[৩] শাহাদাত বলেন, শাহজালাল কর্তৃপক্ষ বলছে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত মনে হচ্ছে, ভিসা তো নতুন করে ইস্যু হবেই না। আর যাদের ভিসা করা আছে, তারাও যেতে পারবে না।
[৫] হাব সভাপতি বলেন, ১০ হাজার ভিসার বিপরীতে প্রায় ৫ হাজার টিকিট কাটা আছে। এর মধ্যে ২ হাজার লো-কস্টের এয়ারলাইন্সের নন-রিফান্ডেবল টিকিট। যার মূল্য ৯ কোটি টাকা। সাধারণ ক্যারিয়ারে যে ৩ হাজার টিকিট কাটা আছে সেগুলোর জন্যও আর্থিক ক্ষতি হবে।
[৬] শাহাদাত বলেন, ভিসাগুলোর জন্য সৌদি সরকারকে (আইবিএনের মাধ্যমে) পরিশোধ করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। আর সেখানে যে হোটেল ভাড়া করা আছে, এজন্য মূল্য আগেই পরিশোধ করতে হয়। ভিসা ফি আর হোটেল ভাড়া আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
[৭] হাব সভাপতি বলেন, সব মিলে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ইনস্ট্যান্ট ব্যয় হয়েছে, যে টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এটা এখন এজেন্সি ও ওমরাহ যাত্রীদের ক্ষতি হবে।
[৮] উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ওমরাহ যাত্রী ও মসজিদে নববী ভ্রমণকারীদের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায় সৌদি আরবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যারা ওমরাহ করতে চাচ্ছেন বা মদিনায় মসজিদে নববীতে যেতে চাচ্ছেন তাদের প্রবেশাধিকার অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :