শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:১৪ রাত
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আসিয়া বিবির মুক্তির এক বছর পরও পাকিস্তানে চালু রয়েছে কুখ্যাত ব্লাসফেমি আইন

সাইফুর রহমান : [২] পাকিস্তানে কয়েক দশক ধরে চলমান কট্টর এই আইনটি মূলত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যার ফলে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন। এই আইনে আসিয়া বিবি নামক এক অ্যাক্টিভিস্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর আট বছরের আইনি লড়াই শেষে বছরখানেক আগে মুক্তি পেয়ে কানাডায় পাড়ি জমান। আলোচিত এই মামলায় আসিয়া খালাস পাওয়ায় পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছিলো। ইয়ন, দি গার্ডিয়ান

[৩] এর আগে আদনান প্রিন্স নামে এক খ্রিস্টান ধর্মযাজককে কোরান অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তার মামলার শুনানিতে কয়েকজন মাওলানা অংশ নিয়েছিলো বলে জানান প্রিন্স।

[৪] সম্প্রতি নবী মোহাম্মদকে অপমানের দায়ে জুনাইদ হাফিজ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তার আইনজীবীকেও হত্যা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কোনো বিচারক ন্যায় বিচারের ঝুঁকি নেবে কিনা এমন প্রশ্নও রাখেন তার পরিবার।

[৫] পাকিস্তানের নিম্ন আদালতের সাবেক এক বিচারপতি জানান, বিতর্কিত এই আইনে ফলে বিচারকদেরও অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এধরনের মামলায় কোনো অভিযুক্ত কোনোভাবে খালাস পেলে বিচারকদেরও ধর্ম অবমাননাকারী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

[৬] দেশটির মানবাধিকার কমিশনের দাবি, এই আইনের অপব্যবহার করে প্রতিনিয়ত অন্যায়ভাবে একজন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া নিম্ন আদালতকেও প্রচণ্ড চাপের মুখে একতরফা রায় দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার ফলে নিম্ন আদালতের রায় প্রায়শ উচ্চ আদালতে গিয়ে উল্টে যায়, কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ন্যায় বিচারে বিলম্ব হয়। আবার উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়ার পরও একজন ভিকটিমকে নিয়মিত হুমকির সম্মুখীন হতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়