শাহীন চৌধুরী: [২] পাইকারি, খুচরা ও সঞ্চালন- এই তিন পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বর্ধিত হারে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা। এই দাম ১ মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বিইআরসি। এ সরকারের আমলে এর আগেও কয়েক দফা বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুতের একক ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যমান পাইকারি মূল্যহার গড় ৪ দশমিক ৭৭ টাকা থেকে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ১৭ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
[৫] পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) সঞ্চালন ব্যয় বিবেচনায় বিদ্যুতের বিদ্যমান সঞ্চালন মূল্যহার দশমিক ২৭৮৭ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে দশমিক ২৯৩৪ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
[৬] বিদ্যুতের পুনঃনির্ধারিত পাইকারি ও সঞ্চালন মূল্যহার এবং বিতরণ ব্যয় বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিসমূহের বিভিন্ন গ্রাহক শ্রেণির বিদ্যমান খুচরা বিদ্যুৎ মূল্যহার গড় ৬ দশমিক ৭৭ টাকা কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে ৫ দশমিক ৩ করে ৭ দশমিক ১৩ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
[৭] রাজধানীর ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি শুরু হয়।
[৮] বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইস্যুতে ওই গণশুনানি করে।
[৯] শুনানিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল।
[১০] বিপরীতে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে।
আপনার মতামত লিখুন :