সুজন কৈরী : [২] রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে হাতিরঝিলে শিপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আজাদ, সুজন ও ইব্রাহীম। তাদের দেয়া তথ্যে শিপনের হত্যায় ব্যবহৃত ১টি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, মহল্লা কেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের কারনে শিপন হত্যা হয়েছে। হাতিরঝিলে বেগুনবাড়ি ও মধুবাগ এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এখানকার উঠতি বয়সী ছেলেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। মধুবাগ এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে বেগুনবাড়ির আজাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পারিবারিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি ওই মেয়ের বাসায় আজাদের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। বেগুনবাড়ির ছেলে মধুবাগ এলাকার মেয়েকে বিয়ে করবে এই ভেবে মধুবাগের ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজাদ ও তার পরিবারকে আটকিয়ে অপমান করে। ওই ঘটনার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বে চরম আকার ধারণ করে এবং এর জেরেই শিপনকে হত্যা করা হয়।
[৪] হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বাতেন বলেন, গত ২৩ ব্রেুয়ারি রাতে শিপন ও তার বন্ধু মানিক মোটরসাইকেলে হাতিরঝিলে ঘুরতে যায়। তারা মধুবাগ ব্রিজের মোড়ে এসে ইউটার্ন করে মধুবাগ ব্রিজের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তাকৃতরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় শিপনকে মোটরসাইকেল থেকে নামায়। এরপর গ্রেপ্তার আজাদ সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে শিপনের পেটে জখম করে এবং শিপনকে বাঁচাতে তার বন্ধু মানিক এগিয়ে আসলে তাকে গ্রেপ্তার সুজন চাকু দিয়ে পেটে জখম করে। শিপন ও মানিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২ টার দিকে মারা যান।
আপনার মতামত লিখুন :