জেরিন আহমেদ : [২] এসব ভারী ধাতু শুধু ধূমপায়ীদের জন্যেই ক্ষতিকর নয়, এর কারণে পরোক্ষ ধূমপায়ী বা যারা ধূমপায়ী ব্যক্তির আশপাশে বিচরণ করেন তাদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাত্রা বাড়ে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বেনসন, গোল্ডলিফ, স্টার, নেভি, হলিউড এবং ডার্বি সিগারেটে ব্যবহার করা তামাক পরীক্ষা করে। ওই পরীক্ষায় সবকয়টি সিগারেটের তামাকেই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সিসা, ক্যাডমিয়াম এবং ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। সময়টিভি, বাংলানিউজ
[৩] এর পরপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহাবুব কবির স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে আলোচিত ছয়টি ব্র্যান্ডের সিগারেটের তামাকে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ভারী ধাতুর উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
[৪] এসব কথা জানিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এখন মন্ত্রণালয়কে সিগারেট ব্র্যান্ডগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নির্ণয় করা এবং সেই অনুসারে জন সচেতনতা সৃষ্টির পরামর্শ দিয়েছে। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষ কীভাবে তামাকে ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া তৈরি হলোতা তদন্তের আহ্বান জানায়।
[৫] খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ তিনটি ল্যাবটেরিতে তামাক পরীক্ষা করে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, পরমাণু শক্তি কমিশন এবং ওয়াফেন রিসার্চ ল্যাব। তিনটি পরীক্ষাগারই ভারি ধাতুর উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
[৬] পরীক্ষাগার প্রতিবেদন অনুসারে, বহুল প্রচলিত ছয়টি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি তামাকে শূন্য দশমিক ৪৯ থেকে ১০০ দশমিক ৯৫ গ্রাম সীসা, শূন্য দশমিক ৪১ থেকে এক দশমিক ৩৭ গ্রাম ক্যাডমিয়াম এবং শূন্য দশমিক ৮২ গ্রাম থেকে ১ দশমিক ৪৯ গ্রাম ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে।