ইয়াসিন আরাফাত : [২] বুধবার এক টুইট বার্তায় এ ঘোষণা দেন দেশটির খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। তিনি বলেন, ভারতে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং এ বছর প্রচুর উৎপাদিত হয়েছে।
[৩] মার্চ মাসে ভারতে পেঁয়াজের প্রত্যাশিত উৎপাদন ৪০ লাখ মেট্রিক টন, যা গত বছরের তুলোনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে দেশটিতে ৮৬ লাখ টন পেঁয়াজের উৎপাদন আশা করা হচ্ছে, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ লাখ টন।
[৪] ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রীদের একটি বৈঠকে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পেঁয়াজের ন্যুনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
[৫] দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর (ডিজিএফটি) থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারির পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
[৬] ভারত হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। গত বছরের জুনে বন্যায় ভারতের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। সেসময় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করলে দেশটির সরকার তাৎক্ষণিক রফতানি ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয়। এরপর সেপ্টেম্বরে এসে পুরোপুরি রফতানি বন্ধ করে দেয়।
[৭] দেশটির পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর বাংলাদেশেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে পেঁয়াজের। নিত্যপ্রয়জনীয় এই দ্রব্যটির দাম অকল্পনীয় ভাবে বাড়তে থাকায় বাজার সামাল দিতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে ভারতের বাইরেও চীন, মিসর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব