লাইজুল ইসলাম : [২] আব্দুল্লাহ নামের একটি এক মাসের শিশু জন্মের সময়ই পেটের সঙ্গে জুড়ে ছিলো অরেকটি শিশু। তবে এই শিশুটির না ছিলো মস্তিষ্ক না ছিলো হৃদপিণ্ড। এই পরজীবী শিশুটি বেঁচে থাকতো আব্দুল্লাহর সাহায্য নিয়ে।
[৩] এসব কারণে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলো আব্দুল্লাহ’র বাবা মা ও স্বজনরা। শারীরিক বিবিধ জটিল সমস্যা নিয়ে ২৫ জানুয়ারি সালাউদ্দিন এবং পারভীনের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন।
[৪] শিশু আব্দুল্লার পেটের বিরাট অংশ জুড়ে ছিলো আরেকটি অপূর্ণাঙ্গ শিশু। অপূর্ণাঙ্গ শিশুটির ছিলো দুই হাত, দুই পা, নিতম্ব, প্রসাব এবং পায়খানার রাস্তা। তবে ছিলো না মস্তিষ্ক এবং হৃদপিণ্ড। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয়, প্যারাসাইটিক টুইন বা পরজীবী শিশু। এর একটি বাচ্চ আরেকটি বাচ্চার উপর প্রভূত্ব করে। বিশ্বে এমন শিশুর জন্মের হার ১০ লাখে ১ জন।
[৫] গেলো ২৮ জানুয়ারি আব্দুল্লাহকে নিয়ে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলের শিশু সার্জারি বিভাগে। ১৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পরজীবী শিশুটিকে আলাদা করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, বাংলাদেশে এমন অস্ত্রোপচার বিরল।
আমরা যেহেতু তার ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। তার শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালো আছে। হার্ট খুব মজবুত। কিডনি ভালো কাজ করছে। আখ ভালো আছে। কাজেই এই বাচ্চাটিকে নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।
সফল অস্ত্রোপচার ও শিশু সুস্থ্য হওয়ায় চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান, আব্দুল্লাহর বাবা-মা। সুস্থ হয়েছে বাচ্চাটা। সামনের দিনগুলোতে যাতে ভালো ভাবে জীবন চালাতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। সবার কাছে বাচ্চাটির জন্য দোয়া চেয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক জানালেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝে এমন অস্ত্রোপচার প্রশংসাযোগ্য। সবাই সাহায্য ও সহযোগিতা করলে আরো ভলো কাজ করা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :