মনজুর এ অনিক, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিনকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার তাকে আসামি করে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৩] স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ওই প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এতে সরকারি পাওনা আদায় আইন ১৯১৩ অনুযায়ী মামলা করে আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনকে।
[৪] এর আগে ২৪ ফেব্রæয়ারি বরখাস্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন ইউপি সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এর বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮০ টাকা, ১৬-১৭ অর্থ বছরে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা এবং ১৭-১৮ অর্থ বছরে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৯শ টাকা সর্বমোট ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা পরিষদের খাতে জমা প্রদান না করে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
[৫] জনস্বার্থে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগে প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।এ বিষয়ে এহসান উদ্দিন বলেন, হাজারো প্রমান হাতে থাকার পরেও সত্য প্রতিষ্ঠায় মনে হয় ব্যর্থ হয়ে গেলাম। আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার মত মানুষ না।
[৬] অন্যায়ে দুর্নীতি,মিথ্যা কথা বলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানুষ না। ৩৩ লাখ টাকা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য আর সম্মানের প্রেক্ষাপটে খুবই সামান্য।এতে করে প্রকৃত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক সচিব পার পেয়ে যেত। পিবিআই এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে এই বিষয়ের উপর তদন্ত চলছে। আমি আমার ইউনিয়নবাসিকে অল্প কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :