শাহীন খন্দকার : [২] অদম্য ইচ্ছা, নিরলস পরিশ্রম আর আত্নবিশ্বাস থাকলে যে কোনো মানুষ হয়ে উঠতে পারেন অসাধারণ। তেমনি একজন হলেন, কিশোরগঞ্জের আলামিন বিশ্বাস।
[৩] ৫ বছর বয়সে দাদার সঙ্গে রাজধানীতে আসেন আলামিন বিশ্বাস। রাস্তায় চা, পান, কলা, বিস্কুট ও রুটি বিক্রি করে সফল আলামিন বিশ্বাস।
[৪] দাদা ট্যানারি কারখানায় ডে-লেবার ছিলো, অভাবের সংসারে বাবা-মা, ভাই-বোন মিলে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন।আত্মবিশ্বাসী তরুণের পথচলাতে সংসারের দারিদ্র্যতাকে সে আজ জয় করেছে। বাবাকে এখন আর রিকসা চালাতে হয় না।
[৫] আলামিন বিশ্বাস বলেন, দাদা ও বাবা মিলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। বাবার বিয়ের পর মায়ের পরামর্শ এবং শশুর বাড়ীর আর্থিক ২০ হাজার টাকা সহযোগীতায় ছালারচট বিছিয়ে চা-বিস্কুট, পান সিগারেট বিক্রি শুরু। এর পরে একটি ভ্যান ক্রয় করে তাতে চা বিক্রি শুরু তিনশফিট আগারখান রাস্তার দ্বারে দু'ফালি টিনের চালা আর ছালার বেড়ার আবরনে খাটি দুধের চা এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০ হাজার টাকার পুঁজি এখন প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ২০ হাজার টাকা। স্ত্রী দেয়া ২০ হাজার টাকা ইতোমধ্যেই পরিশোধ কারা হয়েছে।শুধু তাই নয় তিনি কিশোরগঞ্জে একটি টিনসেট বাড়ী করেছেন।
[৬] তিনি আরো বলেন, সরকারের ওপর নির্ভশীল জীবন নয়, নিজের ভাগ্য নিজে গড়ি পরিবারের অন্যবস্ত্রের জোগাড় করি।
[৭] তার মূল খরিদদার বসুন্ধরা কর্মরত ডে-লেবার, রিকসাওয়ালা এবং বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া ভিআইপি দের গাড়ির ড্রাইভারসহ দূরপাল্লার তিনশো ফিট রাস্তায় যাতায়াত করা গাড়ির যাত্রীসহ হেল্পার ড্রাইভার।
আপনার মতামত লিখুন :