হ্যাপি আক্তার :[২] ১১তম ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন পাঞ্জাবের ছেলে সানি হিন্দুস্তানি। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রচারিত চূড়ান্ত পর্বে সেরা হয়েছেন রাহাত ফাতে আলী খান উপাধি পাওয়া এই তরুণ। এনবিএস
[৩] অক্টোবর ২০১৯-এ শুরু হয়েছিলো এই যাত্রা। শেষ হল ২০২০-র ২৩ ফেব্রুয়ারি। হয়ে গেল এ আসরের ফাইনাল। প্রায় ৪ মাসের এই যাত্রা অতিক্রম করে জয়ী হয়েছেন পাঞ্জাবের সানি হিন্দুস্তানি। ট্রফির পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকার চেকও পান বিজয়ী, সঙ্গে টি-সিরিজের সঙ্গে কাজ করার সুবর্ণসুযোগও।
[৪] সানি জানান, ফুটপাত থেকে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্পটা সহজ ছিলো না। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব নেয়া ও গানের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার সেই দিনগুলো মোটেও অনুকূলে ছিলো না। আমি কল্পনাও করতে পারেনি এতটা দূর যেতে পারব। এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে অনেক সুযোগ করে দিয়েছে। অনেকটা দূর থেকে চোখে স্বপ্ন নিয়ে এখানে এসেছিলাম। মনে হচ্ছে, সেদিনই যাত্রা শুরু হয়েছিলো। ধন্যবাদ জানাতে চাই জনতাদের, যারা আমাকে এত ভালবাসা দিয়েছেন।
[৫] জানা গেছে, সানি হিন্দুস্তানি খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ২০১৪ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর সংসার চালাতে সে বাসস্ট্যান্ডে জুতা পালিশের দোকান করতো। সেখান থেকেই তার ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ এর পথচলা শুরু হয়। পারিবারিক অনটনের মধ্যেও তার গানের ইচ্ছেকে তার মা সব সময় উৎসাহ যুগিয়েছে। সে পাকিস্তানের রাহাত ফতেহ আলী খানের গানের ভক্ত।
[৬] অডিশন রাউন্ডে ‘মেরে রাকসে কামার’ গেয়ে ৩ বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর মঞ্চে গানের জাদুতে সকলের মন জয় করে নেন তিনি। শোতে আসা বিভিন্ন প্রতিযোগীরাও তার গানের প্রশংসা করেছেন।
[৭] শোয়ের ফার্স্ট রানার-আপ রোহিত রাউত ও সেকেন্ড রানার-আপ হয়েছেন অঙ্কোনা মুখার্জি। এছাড়াও ছিলেন অদ্রিজ ঘোষ এবং ঋধম কল্যাণ। জানা গেছে, টি-সিরিজের সঙ্গে কনট্রাক্ট সাইন করেছেন সানি হিন্দুস্তানি। শীঘ্রই তিনি একটি মিউজিক অ্যালবামে গান করতে চলেছেন। ট্রফির পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকার চেকও পান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :