মুনশি জাকির হোসেন : হুমায়ুন আজাদ স্যারের ১৯৮৫ সালের কবিতা, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে। বাংলা ভাষা ধরে রেখেছে, চর্চা করে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণি, গ্রামীণ জনপদ। উচ্চবিত্ত বা নিম্ন /মধ্যবিত্ত থেকে সদ্য শ্রেণি পরিবর্তন করে উচ্চবিত্তে হিজরতকারীরা মূলত মাতৃভাষা বিমুখ। তাদের একটি অংশকে বলে সিঁকি প্রজন্ম, আরেকটি অংশকে পতিত/পিছিয়ে পড়া/cynically abandoned। যাদের অবস্থান একদিকে মসজিদ/মাদ্রাসা, মক্তবে, অন্যদিকে ইংলিশ মিডিয়ামে, উত্তর পাড়াতে। যাদের প্রথম অংশ ভোগে Inferiority Complexity তে অন্য অংশ ভোগে Superiority Complexity তে। একপক্ষ পুরোটাই বস্তুবাদে বিশ্বাসী। অন্য পক্ষ দোয়া, পানি পড়া, তাবিজ, নিয়তির উপর নির্ভরশীল। এক পক্ষ ব্রেইন ড্রেইনে আছে। অন্য পক্ষ ব্রেইন ড্যামেজে আছে। বাংলা ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সব কিছুতেই এই দুই পক্ষ বাংলাদেশের প্রতি চরম বৈরী মনোভাব নিয়ে নষ্ট নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠছে। এই বিশাল সংখ্যক উদ্বৃত্ত নাগরিকের বোঝা বহন করা রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক। তাদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে যতো দেরি ততোই অমঙ্গল।
চলামান সমাজ পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত এই সমস্যার সহজ সমাধান নেই। এই অচল সমাজের ভাঙন অনিবার্য। একদিন পুনর্জাগরণ হবে, এটি হবে এই সমাজের মধ্য থেকেই এবং সেটি মধ্যবিত্ত থেকে। অতীত বলে যতো ত্যাগ, যতো সংগ্রাম, যতো বিসর্জন তার সিংহভাগই এসেছে মধ্যবিত্ত থেকে। নূর হোসেন, আসাদ, সেলিম, দেলোয়ার প্রমুখদের কেউই উচ্চবিত্তের ছিলো না। তথাকথিত উঁচুতলার লুম্পেন, বুর্জোয়া, পেটি বুর্জোয়াদের অপেক্ষায় থাকলে সব কূলই হারাতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :