নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] এমনিতে বিয়ের আশীর্বাদে হরিণের চামড়ার আসন বানিয়ে সমালোচিত হয়েছেন অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। এবার এই নিয়ে পড়তে যাচ্ছেন আইনি জটিলতায়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট জানিয়েছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে সৌম্য বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদিও তার পিতা কিশোরী মোহন সরকার জানিয়েছেন এটি বংশানুক্রমে পাওয়া।
[৩] আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পিঁড়িতে বসছেন সৌম্য। তার আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি তার আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়। আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের এক একটি হরিণের চামড়ার ওপর বসে এবং দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকটি ছবি প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে সাতক্ষীরায় বেশ কয়েকজন সংবাদমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, তারা সৌম্য সরকারের বাড়ির দেয়ালে হরিণের একটি মাথাও ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছেন।
[৪] এ বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সময় নিউজকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ওই চামড়া পূর্বপুরুষদের হাত বদল হয়ে তাদের কাছে এসেছে। বিয়ের আশীর্বাদে এভাবে চামড়ার ব্যবহার তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। এই চামড়াটাও অনেক পুরনো। তারপরেও জাতীয় পর্যায়ের একজন খেলোয়াড় হিসেবে এটা করা তাদের উচিৎ হয়নি। তবেএ ব্যাপারে এখনও কেউ কোনো অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৫] তবে সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার বলেন, এটি মূলত পারিবারিক ঐতিহ্যের নিদর্শন। চামড়াটি মূলত প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং বহু পুরানো। যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যা বংশানুক্রমে পাওয়া। আমি পেয়েছি আমার বাবা কাছ থেকে। আমার জানা মতে তিনি তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তবে এটি প্রথমে কে ব্যবহার করেছিলেন তা আমার জানা নেই। পূর্ব পুরুষ থেকে পাওয়া আরও অনেক জিনিস আমার কাছে রয়েছে। সৌম্য আমার ছোট ছেলে, তার বিয়ে নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে হরিণের চামড়ার বিষয়টি নিয়ে একটি গ্রুপ তিলকে তাল করার চেষ্টা করছে। কেন করছে তা আমি জানি না।’
আপনার মতামত লিখুন :