শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৩৯ সকাল
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাসদ সমর্থক ফোরামের কেন্দ্রীয় কনভেনশন ডাকা উচিত

 

মাসুদ রানা : বাসদ রাজনীতিতে আমি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলাম ‘বাসদ সমর্থক ফোরাম’ সৃষ্টি করে। প্রথমে ১৯৯১ সালে ব্রিটেনে, তারপর জাপানে, আমেরিকায় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে এই সমর্থক ফোরাম গড়ে ওঠে। কিন্তু, বাসদ আন্তর্জাতিকতাবাদের ধারণা থেকে বাংলাদেশের বাইরে যে-দলটির আদর্শ, পদ্ধতি ও সাংগঠনিক কাঠামো অনুসরণ করে, সে-দলটির মধ্যে ‘সমর্থক ফোরাম’-এর কোনো ধারণা নেই। আমি জানি না বর্তমানে ‘বাসদ সমর্থক ফোরাম’ বলে কোনো সংগঠন বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল আছে কিনা। কারণ, ২০১৩ সালে দলটি ‘অথরোটি’র ধারণা নিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আমি কোনো অংশের সাথে আর যুক্ত নই। আমার মনে হয় বাসদ সমর্থক ফোরামের একটি কনভেনশন ডাকা উচিত- শুধু সমর্থকদের নিয়ে। কোনো ব্যক্তি-বিশেষের প্রতি ব্যক্তিগত আনুগত্য বিহীন সমর্থকদের মধ্যে যারা সৃষ্টিশীল, তারা চাইলে বর্তমানের বন্ধ্যা রাজনৈতিক সঙ্কট-কালে নতুন পথের সন্ধান দিতে পারেন। ডাকুন না একটি কনভেনশন এ বছরের আগষ্ট মাসে গ্রীষ্মের ছুটিতে, যাতে প্রবাসী সমর্থকগণও যোগ দিতে পারেন তাতে। ২. বাসদ-ভাঙ্গন : ২০১৩ সালের খোলা চিঠি থেকে উদ্ধৃতিবিপ্লবী প্রেরণার যুগ-যুগের যে উৎস, শোষিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ, তা আমাদের নেতাদের মধ্যে কদাচিৎ মূর্ত।

তাদের চলনে-বলনে-অনুভবে, কিংবা আচরণে-বিচরণে-অনুষঙ্গে, কদাচিৎ প্রকাশিত। বাংলাদেশের বা বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও পাশবিক জীবনে বাধ্যতা এঁদের কাছে আদৌ কোনো আবেদন রাখে কি-না, তা অস্পষ্ট। আপনি কাকে সমর্থন করবেন এবং কী ভিত্তিতে? আমি বহু আগে থেকেই জানি যে, বাসদ বিপ্লবী দল হিসেবে গড়ে ওঠছে না। স্বৈরতন্ত্র-বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে প্রধানত ব্যপৃত থাকার কারণে সর্বহারা শ্রেণিসংগ্রামের প্রশ্নে পার্টির অবস্থান ও ভূমিকার বিষয়গুলো সেভাবে মূর্ত হয়ে ওঠেনি (এ বিষয়ে আমার পর্যবেক্ষণ আমি জামান ভাই-সহ অনেক কমরেডের সাথে গত ২০ বছরে নানা পর্যায়ে আলাপ করেছি এবং জামান ভাই বলেছেন, আমাদের দলটি এখনও ট্র্যানজিশনের মধ্যে রয়েছে)। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় এটি ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠলো যে, বাসদের ওরিয়েন্টেশন সর্বহারা শ্রেণির নয়।

আমার কাছে মনে হয়েছে, সর্বহারাত্ব ও বৈপ্লবিকতার মাপকাটি হিসেবে প্রধানত কর্মীবাহিনীর দার্শনিক বিশ্বাসের শাব্দিক প্রকাশ ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যশীল আচরণকেই দেখা হয়েছে। এদলের নেতা থেকে শুরু করে সমর্থক পর্যন্ত, প্রধানত পেটিবুর্জোয়া শ্রেণির। এ দলের আশা-আকাক্সক্ষা, কর্মসূচি, সংগ্রাম, সঙ্গ-অনুষঙ্গ, আচরণ-বিচরণ, রুচি-সংস্কৃতি, সবকিছুই পেটিবুর্জোয়া-পরিধিবদ্ধ। আমি মনে করি, আমাদের দলটির বর্তমান পরিণতির পেছনে রয়েছে স্ট্র্যাটেজিক ও ট্যাকটিক্যাল পর্যায়ের দু’টি প্রাথমিক দ্বন্দ্ব এবং এদের মিথষ্ক্রিয়ায় সৃষ্ট অপারেশন্যাল পর্যায়ের একটি চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব। উদ্ধৃতিটি ২০১৩ সালে ৮ই এপ্রিলে লিখিত ‘বাসদ-সমর্থকদের প্রতি খোলা-চিঠি’ থেকে নেওয়া হয়েছে। ২৩/০২/২০২০,ল-ন, ইংল্যা-। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়