অপরাজিতা নীল : কেউ কি এখন ব্যাংক নিয়ে কথা বলছেন? ‘টাকা যাই থাকুক, দেউলিয়া হলে ক্ষতিপূরণ এক লাখ টাকা’। কয়দিন এতো ফাটাফাটি চললো, লেখায়, কথায়, সবাই এই কথা। হঠাৎ কী তামশা, এক পাপিয়ার মদ আর মাসি এই আফিমের টানে সব ভুলে গেছেন। কাহিনিকার সময় মতো টুইস্ট দিছেন, নায়িকার অবদান অস্বীকার করতে পারবেনই না, আর আমরা ভার্চুয়াল আফিমখোর, আমরা বড় ইস্যু ছেড়ে কাতকুুতু ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত, কেউ টিস্যু নিয়ে। এইসব মামলার কিছু হয় না, এটা যে ইস্যু ঘোরানোর তা না জানার কিছু নাই জামিন চাইবে, পাবলিক প্রসিকিউটর আপত্তি করবে না, একসময় যেই কি সেই। লাভ কার? পাপিয়ার রেট বেড়ে যাবে, লস কার? ওয়েস্টিনের। সবচেয়ে বড় লাভ, অর্থমন্ত্রীর, ইস্যু এখন অন্যদিকে সরে গেছে।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি, যে সংসারগুলো সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর চলতো, তারা পথে বসবে। কচুরীপানার ট্রলটা লম্বা হয়নি, এটা হবে। কারণ এখানে রসময় গুপ্তের আদিরস যোগ হবে, নুতন চ্যাপ্টার আসবে, কাহিনী লেখা চলছে। একালের রসময় গুপ্ত জানে পাবলিক কি খাবে। পাপিয়া মারফত এতো লোকের সংসার চলে, কে উনাকে বেশি ঘাটাতে যাবে? শেষ অধ্যায় বলে দেই, অপু-নাজমা তাদের ‘আজীবন বহিষ্কারের চিঠি’ প্রত্যাহার করবেন। পাপিয়া হয়তো সংরক্ষিত আসনের এমপিও হয়ে যেতে পারেন, পুরস্কারসরুপ- আফটারঅল সী হ্যাজ টেকেন দ্যা বুলেট ফর দ্যা টিম ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :