দীপু তৌহিদুল : আমরা যারা ছোটো থেকে ঢাকা শহরটা ঘুরে বড় হয়েছি, তারা নারীর আচার, পোশাক আর মেকআপ দেখলে বুঝতে পারি ঝামেলার নারী। সব সময় এই আন্দাজ ঠিক না হলেও শতকরা নব্বইভাগ ঠিকই ধরা যায়। স্বীকার করতে হবে রাস্তাঘাটে এমন নারীদের দেখে অনেকেই সতর্ক হয়ে যান বিপদে না পড়ার জন্যই, কেউ বাড়তি ঝামেলা চায় না, সাথে ইজ্জতেরও একটা ইস্যু রয়েছে। পত্রিকায় যে সব ঘটনা আসে তাতেই স্পষ্টত পেট ভরে যাবার জন্য যথেষ্ট।
এপার্টমেন্ট লাইফে কতো পাপিয়ার চেহারা দেখা যায়, তার কোনো ইয়ত্তা নেই, এসব ভুক্তভোগীরাই একমাত্র জানে। নারায়ণগঞ্জের টান বাজার আর পুরাতন ঢাকার প্রাতিষ্ঠানিক নারী বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার পর নারী দেহ বাণিজ্য গোটা ঢাকাজুড়েই চলে। মুশকিল এসব নিয়ে বলাটা ট্যাবু হয়ে আছে। বললেই আপনি ধরা খাবেন, বিব্রত করা হবে পদে পদে, অথচ সব কিছু নাকের ডগায় চলছে। কিন্তু বলে পাপ করার চাইতে চুপ থাকাটারে মুখ্য করা হয়েছে। তার ওপর অনেক টাকার খেলা নিয়ে কথা বললে, সাইজ হয়ে যাবেন কিনা সেটাও ম্যাটার করে। এইসব নিয়ে বলার চাইতে দেখাটাই খুব নিরাপদ। বলার জন্য নারী নেত্রী, মুক্তমনা আর বিজ্ঞান মনস্করা রয়েছেন - নাকে সুরেশ তেল ঘষে বসে যান। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :