কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] ব্লু ইকোনমিতে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে ভারত-মিয়ানমার, জ্ঞান হীনতার জন্য আমরা তিন বছর দেরী করে ফেলেছি বলে জানালেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ার্স ইউনিটের ডিরেক্টর জেনারেল এডমিরাল (অবঃ) খুরশেদ আলম।
[৩] সোমবার সেন্ট্রার ফর স্টাটেজিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (সি এস ডি এস) এর উদ্যোগে নীল ব্লু ইকোনমি সংক্রান্ত একটি সেমিনারে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, সার্বিক ভাবে বলা যায় যে বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারলে এ অর্থনীতির সম্ভাবনা বিশাল। এ জন্য ৪ বছর আগে যেমন মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে, একই ভাবে সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবি সৃষ্টির জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্র জয়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ১,৮১,৩১৮ বর্গ কিলোমিটারের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে দেশের মেরিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ, সামুদ্রিক মৎস্য চাষ, বাণিজ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ , পর্যটন, নৌ-পরিবহন, তেল, গ্যাস ও জ্বালানীর ক্ষেত্রে অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
[৫] খুরশেদ আলম বলেন, ব্লু ইকোনমি সেল প্রধান মন্ত্রীর মূখ্য সচিবের নেতৃত্বে আন্তমন্ত্রণালয় কার্যক্রম সমন্বয় করে যাচ্ছে। এ খাতে বায়োটেকনোলজি গবেষণা ও উন্নয়ন, স্থিতিশীল জীবিকার জন্য ম্যানগ্রোভের সুরক্ষা, জাহাজ নির্মান ও রিসাইক্লিং শিল্প, সামুদ্রিক দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, মেরিন প্ল্যানিং বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত। আমরা ২০০ নটিক্যাল মাইলের অতিরিক্ত কন্টিনেন্টাল শেল্ফ এবং আরও গভীরে জাতীয় সীমানার বাইরেও সামুদ্রিক মৎস ও অন্যান্য সম্পদ আহরণ করতে পারি।
আপনার মতামত লিখুন :