লাইজুল ইসলাম : [২] ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, পাসপোর্ট প্রিন্ট করার তিনটি মেশিনগুলো ১০ বছরের পুরাতন। মেশিনগুলোতে বেশি চাপ দেওয়া যায় না। তারপরও দিনে ১৬ হাজার পাসপোর্ট আমরা প্রিন্ট করছি।
[৩] তিনি জানান, পাসপোর্ট বই সংকট কথাটি বিভ্রান্তিকর, বর্তমানে ২০ লাখ পাসপোর্টে কাজ চলছে, ২০ লাখ রিজার্ভ আছে, আরো ২০ লাখ পাসপোর্ট বই মার্চ বা এপ্রিলে হাতে আসবে।
[৪] মহাপরিচালক বলেন, ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট দুটি কার্যক্রম একই সঙ্গে চালাতে গিয়ে চপটা বেড়ে গেছে। কিন্তু লোকবলতো একই আছে। এক দেড় মাস এই সমস্যাটা থাকবে। এরপর এই সমস্যাটা সমাধান হবে।
[৫] তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রতি ১০০ পাসপোর্টের ১০ থেকে ১৫ ভাগ বই রিজেক্ট হয়ে যায়। এগুলোকে আবার ঠিক করে মেশিনে দিতে হয়। আবার সিডিউল করতে হয়। এসব কারণেও পাসপোর্ট ডেলিভারিতে সময় লাগছে।
[৫] সাকিল আহমেদ জানান, নতুন মেশিন কেনার বিষয়ে এখনো আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। ই-পাসপোর্ট যদি কাঙ্খিত প্রিন্ট করা যায় তবে আর কিনবো না। কিন্তু যদি প্রিন্ট আশানরুপ না হয় তবে এমআরপি’র প্রডাকশন বাড়াতে নতুন মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেটা আমাদের চিন্তা ভাবনায় আছে।
[৬] মহাপরিচালক বলেন, গ্রাহক সেবা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে নতুন মেশিন কিনে আনা হবে। কোনো ভাবেই পাসপোর্টের জন্য গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলতে চাইনা আমরা।
[৭] এখন পাসপোর্ট গ্রহকের সংখ্যা ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি। ২০১৫ সালে পাসপোর্টধারীর সংখ্যা ছিলো ২ কোটি ৬০ লাখ। গেলো পাঁচ বছরে ২০ লাখ পাসপোর্ট ধারীর সংখ্যা বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :