দেবদুলাল মুন্না: [২] ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদকেও হত্যা করা হয়েছিল। বিডিআর বিদ্রোহের পর সে বাহিনী পূর্ণগঠনের সময় সেটির নাম বদলে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) রাখা হয়।
[৩] বিদ্রোহের ঘটনার একদিন পরেই বিডিআর-এর মহাপরিচালক হন তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনুল ইসলামকে। তিনি বিবিসিকে বলেন ‘আমি ওদেরকে প্রায়ই বলতাম, তোমাদের সব আছে। তোমাদের খাওয়া আছে, বেতন আছে, অস্ত্র আছে। আমি জিজ্ঞেস করতাম, তোমাদের কী নাই? ওরা বলেছিল, সৈনিক এবং অফিসারদের মধ্যে যে বিশ্বাস সে জিনিসটা চলে গিয়েছিল।
[৪]এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, জওয়ানদের ক্ষোভ থেকেই বিদ্রোহ হয়েছে। এর বাইরে কোনো তথ্য প্রমাণ মেলেনি।
[৫] নিহতদের স্মরণে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি। সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানরা (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। আগামীকালও কর্মসূচি রয়েছে।
[৬]এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। একই মামলায় আরও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :