দেবদুলাল মুন্না: এ তথ্য গতকাল মুনতাসীর মামুন দাবি করেন। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন। কিন্তু জেলে থেকেই সব নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের গোপন নথি নিয়ে প্রকাশিতব্য ১৪ খণ্ডের বইয়ের মধ্য প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক বইয়ের প্রথম খণ্ডটির সময়কাল ১৯৪৮-১৯৫০ এবং দ্বিতীয় খণ্ডের সময়কাল ১৯৫১-১৯৫২।
তিনি জানান,এসব গোপন নথি দেখলেই বোঝা যায়, ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ সদরঘাট থেকে প্রায় দুইশজন ছাত্রের অংশগ্রহণে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিবুর রজমান, দবিরুল ইসলাম ও কল্যাণ দাস গুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে এসে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জমায়েত করেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে অন্নদাশঙ্কর রায় ঢাকা আসেন। অন্নদাশঙ্কর রায় বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চান ‘বাংলাদেশের আইডিয়াটি প্রথম কবে আপনার মাথায় এল?’ তিনি (বঙ্গবন্ধু) মুচকি হেসে বলেন, ‘সেই ১৯৪৮ সালে। হঠাৎ একদিন রব উঠল, আমরা চাই বাংলাভাষা। সেই ভাষাভিত্তিক আন্দোলনকেই একটু একটু করে রূপ দিই দেশভিত্তিক আন্দোলনে।
আপনার মতামত লিখুন :