সুজন কৈরী : পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেবাবার সকালে কুমিল্লার মুরাদনগরের নিয়ামতপুর দক্ষিণ পাড়া থেকে একজন ফোনে জানান, কিছু ব্যক্তি ১৪/১৫ বছরের এক কিশোরকে অপহরণ করে ঢাকার দিকে নেয়ার পথে নিয়ামতপুর দক্ষিণ পাড়া আসার পর ছেলেটি একটি চলন্ত পিক আপ থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তামিম খান (১৪) নামের ওই কিশোরকে উদ্ধার করেছে এবং পিকআপকে অপহরণকারীসহ আটকে রেখেছে। ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষনিক কলারের সঙ্গে মুরাদনগর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়া হয়। এরপর থানার এসআই মোর্শেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। সেইসঙ্গে আটক করেন চার ছিনতাইকারীকে। তারা হলো- রিপন (২৪), আলামিন (২১), বাদশাহ মিয়া (২৮) এবং ইউসুফ (২৮)। জব্দ করেন পিকআপ ভ্যানটি।
এসআই জানান, উদ্ধার কিশোর তামিম খানের (১৪) বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে। রাগ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে ১০/১২ দিন আগে চট্টগ্রাম যায়। সেখানে একটি হোটেলে বয়ের কাজ করতো। শনিবার বাড়ির জন্য মন খারাপ হলে চট্টগ্রাম অলঙ্কার বাসষ্ট্যান্ড থেকে রাতে বাসে করে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাসে তার সঙ্গে এক যাত্রীর পরিচ্য় হয়। ঘটনা শুনে লোকটি তার সঙ্গে তামিমকে কুমিল্লা নেমে যেতে এবং তিনি দিনাজপুর বাড়িতে পৌঁছে দিবেন বলে জানান। লোকটির কথামত তামিম মধ্যরাতে কুমিল্লার চান্দিনায় নেমে যায়।
এরপর লোকটির কিছু পরিচিত ব্যক্তি একটি পিকআপসহ সেখানে আসে। লোকটি তামিমকে নিয়ে পিকআপে চড়েন। এরপর সারারাত চক্রটি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী তুলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাত্রীদের মারধর করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছিল। কিন্তু তামিমের তখন কিছুই করার ছিলোনা। ভোরের আলো ফুটলে পিকআপটি দক্ষিণ পাড়ায় পৌঁছানোর পর তামিম লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চলন্ত পিকআপ থেকে লাফ দিয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ও চার ছিনতাইকারীকে পিকআপ সহ আটক করে।
আপনার মতামত লিখুন :