লাইজুল ইসলাম: দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসতে চলছে কার্যক্রম।ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে চারটি এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি করে প্রোভিশন-২’ স্ক্যানার বসানো হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে সংযুক্ত স্ক্যানারগুলো অবশ্য এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি।
খুব শিগগিরি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ শেষে এগুলো চালু করা হবে। আট ফুট উঁচু ছোট্ট একটি কাচের ঘরের আকারের স্ক্যানারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাত্রীর শরীরে, এমনকি অন্তর্বাসের ভেতর লুকিয়ে রাখা অস্ত্র, বিস্ফোরক, বোমা তৈরির উপকরণ, মাদকসহ লুকিয়ে রাখা যাবতীয় জিনিস শনাক্ত করবে। আর তা ভেসে উঠবে স্ক্যানারের সঙ্গে সংযুক্ত মনিটরে। এই বডি স্ক্যানারে একজন যাত্রীকে স্ক্যান করতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই সেকেন্ড। সে হিসাবে ঘণ্টায় ২০০ থেকে ৩০০ যাত্রীকে স্ক্যান করা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার ‘প্রোভিশন-২’ মানুষের পোশাকের নিচে লুকিয়ে থাকা যেকোনো ক্ষুদ্র উপকরণও চুম্বকীয় বিকিরণের সাহায্যে শনাক্ত করতে সক্ষম। সর্বাধুনিক সিকিউরিটি টেকনোলজির এই স্ক্যানার বিমানবন্দরে ব্যবহারের জন্যই বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিমুক্ত ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মিলিমিট্রিক ওয়েভস’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোভিশন-২ যাত্রীর পুরো শরীর দ্রুত স্ক্যান করে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানান, জাইকা আমাদের এই মেশিনগুলো ফ্রি দিয়েছে। এগুলো ‘উন্নত প্রযুক্তির প্রোভিশন-২ স্ক্যানার। জাইকার প্রতিনিধি দল ঘুড়ে দেখেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউটর (এসওপি) দিলে আমরা অপারেশনে যাব।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান বলেন, এটা ব্যবহারের জন্য টেকনিকেল অপারেটিং পদ্ধতি এখনো পাইনি। সেটা আমাদেরকে দিলে নিরাপত্তা কর্মীদেরকে ট্রেনিং দিবো। তারপর শুরু করবো এর ব্যবহার।
আপনার মতামত লিখুন :