মহসীন কবির : রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে বলা হয়, উত্তরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে আছে ১২, ১৬, ২৮, ৩১ নং ওয়ার্ড ও উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর। দক্ষিণে ৫, ৬, ১১, ১৬, ৩৬ ও ৪১ আছে এডিসের ঝুঁকিতে। সময় টিভি
এছাড়াও এতে জানানো হয়, এডিসের বংশবিস্তারের মূল উৎসের ৪০ শতাংশই নির্মাণাধীন ভবন। মোট ১০০টি এলাকার ১০০০টি বাড়ি ঘুরে এ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড সংখ্যক এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এবারও বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া বদলাচ্ছে, বৃষ্টি হলে প্রকোপ বাড়বে। তাই এখন থেকেই মশা নিধন কার্যক্রম চালানোর কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। না হলে গতবারের চেয়েও পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের এক জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৬ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ২৩৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন একজন। ভর্তি হওয়া ২৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুইজন করে। মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার জন, বিজিবি হাসপাতালে তিন জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১০ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। অপরদিকে, ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৪৯ জন। রাজধানী ঢাকা ছাড়া ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা আর রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন ডেঙ্গু রোগী।
আপনার মতামত লিখুন :