শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৪:৫২ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৪:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে নেভাডায় জিতলেন বার্নি স্যান্ডার্স, মার্কিন জনগণের মাঝে ঐক্য ফিরিয়ে আনার তাগিদ

রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিসেবে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন বার্নি স্যান্ডার্স। নেভাডায় বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছেন ৪৬.৩ শতাংশ আর জো বাইডেন পেয়েছেন ২৩.৭ শতাংশ সমর্থন। নিজের এই জয়ের পর ভোটারদের স্বাগত জানিয়ে টুইটারে তিনি বলেন ‘আমরা জিতেছি কারণ আমরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিদের উল্টোটাই করেছি। মার্কিন জনগণের মধ্যে আমরা ঐক্য ফিরিয়ে আনব। ’ জয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ক্রেজি বার্নি অভিহিত করে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ জয় হাতছাড়া হতে দিওনা। বার্নি নিজেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলায় স্ট্যাটস দেন, ‘বার্নি  নেভাডায় জিতেছে।’ ৩ ঘন্টায় এ পোস্টে আড়াই হাজার লাইক পড়ে।

স্যান্ডার্স বলেন, নেভাডায় বহুজাতির মানুষকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি জোটে পরিণত করতে পেরেছি যা পুরো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জয় এনে দেবে। তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলাই এই জয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বার্নি বলেন আর কারো প্রচারণা এ বিষয়টি অনুপস্থিত। তিনি তার সমর্থকদের ফোনকল ও বাড়ি বাড়ি যেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ জানান। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপূর্বাঞ্চল প্রদেশ ভারমন্টের এই সিনেটর টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে বিপুল সমর্থকদের মাঝে আগামী নির্বাচনে জয়ের তীব্র আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, ট্রাম্প ও তার বন্ধুরা ভাবছে নির্বাচনে তারা জয় পাবে মানুষের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করে। গায়ের রং, ধর্ম বা যৌনতার ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে মতপার্থক্যকে ব্যবহার করে। কিন্তু আমরা তার উল্টোটাই করেছি।

এর আগে বার্নি স্যান্ডার্স নিউ হ্যাম্পশায়ারে জয় পান এবং আইওয়াতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পিট বাটিগিয়েগের তুলনায় সমর্থকদের সমর্থনে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে হিলারি ক্লিনটন পেয়েছিলেন ৫২ শতাংশ আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী, বার্নি স্যান্ডার্স পেয়েছিলেন ৪৮ শতাংশ সমর্থন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়