শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:৫৯ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিটি ওয়ার্ডেই

আমাদের সময় : লালখানবাজার ওয়ার্ডের দুবারের কাউন্সিলর এএফ কবির আহমদ মানিক আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে পাননি। দলটির পক্ষে সমর্থন দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলালকে। মানিক বলেছেন, আমি নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করব। আগেও নির্দলীয়ভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ ভোট দিক আর না দিক ২৯ মার্চ নির্বাচনে আমি আছি।

জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক তিনবারের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট এমএ নাসেরও দলীয় সমর্থন পাননি। পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। নাসের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও নগর যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি সমর্থন পাননি। বিপ্লব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছেন, পাঁচ বছর ধরে আমি কাজ করলাম আর অন্যজন ফল ভোগ করবে- এটা হয় না। আমাকে তো জনগণ প্রত্যাখ্যান করেনি। দল সমর্থন দেয়নি, স্বতন্ত্রভাবে করব। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে ইনশাআল্লাহ জিতব।

এভাবে ৪১ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত ১৪ মহিলা ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া প্রার্থীদের বাইরে এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। দেখা গেছে, বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই এবার সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা সমর্থন পেয়েছেন। পিছিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের বর্তমানে নেতৃত্বে আছেন তারই পুত্র ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ৪১ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ১৪টি মহিলা ওয়ার্ড মিলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ৪০৬ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক নেতারা। সমর্থন পেতে ব্যর্থ কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরের অভিযোগ, নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির দলাদলির শিকার তারা।

জানা যায়, এই দলাদলির কারণেই দলীয় সমর্থনবঞ্চিতরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। একাধিক প্রার্থী বলেন, নৌকা প্রতীক থাকবে কেবল মেয়র পদে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এটা থাকছে না। কাজেই তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

অভিযোগ রয়েছে, মাঠে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কেবল নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর সঙ্গে বিরোধের কারণে সমর্থন পাননি পাঁচ বর্তমান কাউন্সিলর। সংরক্ষিত ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর আসনের মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানিয়েছেন। এ ওয়ার্ডে সমর্থন পেয়েছেন তসলিমা বেগম নুরজাহান। তাকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য দেখানো হয়েছে। সংরক্ষিত ২৮, ২৯ ও ৩৬ আসনের কাউন্সিলর ফেরদৌসি আকবর বলেছেন, নির্বাচনে আছি। কোথাকার কোন একজনকে আমার ওয়ার্ডে সমর্থন দেওয়া হয়েছে, যিনি এই ওয়ার্ডের ভোটারই নন। অভিযোগ প্রসঙ্গে সমর্থন পাওয়া জিন্নাত আরা বেগম বলেন, ভোটার না হলে সমর্থন কীভাবে পেলাম। এটা তো হাসির কথা হলো।

সমর্থনবঞ্চিত মহিলা কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ বলেন, আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যজনকে সমর্থন দেওয়া হলো। নির্বাচন করব।

চসিকের সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতেই আওয়ামী লীগসমর্থিত মহিলা কাউন্সিলর আছেন। এবার তাদের মধ্যে পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হয়। তবে এই পাঁচজনই বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন।

বিএনপির সমর্থন নিতে ২০৫ জনের সাক্ষাৎকার

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন পেতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ২০৫ জন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাৎকার দেন তারা। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৮০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২৫ জন সাক্ষাৎকার দেন। মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই শেষে তালিকা তৈরি করে স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠাবে। আজ রবিবার কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহসভাপতি এমএ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু মনোনয়ন বোর্ডে ছিলেন।

নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, গতকাল সকাল থেকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় কার্যালয়ে আসতে থাকেন। তাদের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরব হয়ে ওঠে নাসিমন ভবন।

বিকালে (শনিবার) সাক্ষাৎকার শেষে একটি তালিকা তৈরি করে স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়