গৌতম চক্রবর্তী : নাজি জার্মানির প্রথম ধাক্কাটা আছড়ে পড়েছিলো গোটেনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গোটেনজেন বিশ্ববিদ্যালয় কী ছিলো সেটা জানতে নারায়ণ সান্যালের বিশ্বাসঘাতক পড়ে দেখতে পারেন। ‘গোটেনজেনের ত্রিরতের দুজন বিতাড়িত। শেষ দীপশিখাটি জ্বালিয়ে রেখেছেন একা ডেভিড হিলবার্ট-গণিত সাগর। তিনি পুরোপুরি নর্ডিক-ইহুদি রক্তের চিহ্নমাত্র নেই তার ধমনীতে। প্রায় বছরখানেক পরে বার্লিনে এক ভোজসভায় তদানীন্তন জার্মান সরকারের নাৎসী শিক্ষামন্ত্রী হিলবার্টকে কথা প্রসঙ্গে হঠাৎ প্রশ্ন করলেন, ‘প্রফেসর, এ কথা কি সত্য যে, ইহুদি বিতাড়নে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্গহানি হয়েছে’? হিলবার্ট তৎক্ষণাৎ জবাবে বলেছিলেন, ‘আজ্ঞে না, অঙ্গহানি তো কিছু হয়নি’।
উৎফুল্ল হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তাই বলুন। অথচ লোকে কতো কথাই রটাচ্ছে’। হিলবার্ট বললেন, ‘ওসব মূর্খলোকের কথায় কান দেবেন না, হের মিনিস্টার। অতীতের সেই গোটেনজেন আজ আর নেই। মৃতদেহের আবার অঙ্গহানি কি’? ‘ বিশ্বাসঘাতক, নারায়ণ সান্যাল। বোঝা যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে সারা পৃথিবীর সব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই হচ্ছে দেশদ্রোহীদের আখড়া। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :