জাকির তালুকদার : এই লেখা ধূমপানের পক্ষে নয়। মেলায় ঢোকার সময় গেটে পুলিশ চেক করে। জিজ্ঞেস করে সিগারেট বা লাইটার আছে কিনা। সত্যি কথাটাই বলিনি। কারণ মেলার ভেতরেই আমার জন্য ওসব রাখা থাকে। অফিসিয়ালি মেলাতে ধূমপান নিষিদ্ধ। কয়েক বছর আগে একটি স্টলে আগুন লেগেছিলো। তবে তা ধূমপানের কারণে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে মেলাতে সিগারেট খাওয়ার চল আছে। বিশেষ করে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে। কর্তৃপক্ষ সেটি না দেখার ভাণ করেন। সেখানে ধূমপান করেন অনেক সাহিত্যিক-কবি-সম্পাদক। গাঁজা বা মদ নয়, ধূমপানই করেন শুধু। এ যাবৎ সেই চত্বর থেকে কোনো স্টলে আগুন লেগেছে বা কারও ক্ষতি হয়েছে এমন একটাও উদাহরণ নেই। কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডা হয় এখানে। গল্পগাছার মাঝখানে এককাপ চা আর ভাগ করে খাওয়া সিগারেট অপরিহার্য অনেকের কাছে। সেখানে সিগারেট খাওয়ার কারণে শিল্পী চারু পিন্টুকে হেনস্তা করেছে পুলিশ।
প্রথম কথা হচ্ছে পুলিশের কাজ মেলায় আগতমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। চারু পিন্টু কারও জন্য হুমকির কারণ নন। দ্বিতীয়ত যদি উক্ত পুলিশ সদস্য খুব আইন মানা লোক হয়ে থাকেন তাহলে তিনি তাকে দেওয়া আইনগত ক্ষমতা দিয়ে জরিমানার কথা বলতে পারতেন। তা না করে তিনি তার উর্দির অপব্যবহার করতে গেছেন। পুলিশের ক্ষমতা প্রদর্শনের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে গত ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পর থেকে। আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রেখে নৌকা মার্কাকে তারাই ক্ষমতায় রাখার ব্যবস্থা করেছেন এমন দাবি তাদের কথায় ও আচরণে স্পষ্ট। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে যে দেশের লেখক, কবি, পাঠক, প্রকাশক, সম্পাদকদের মিলনমেলার শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নিয়ম রক্ষা করার দায়ি ত্ব বাংলা একাডেমির। একাডেমির অনুমোদন ছাড়া পুলিশ বা অন্য কারও আগ বাড়িয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার নেই। আশা করি নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার আর কেউ করবেন না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :