শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:২৯ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে সরকারি নীতিমালা কঠোর করার সময় এসেছে

 

জায়েদুল আহসান পিন্টু : ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ’। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে সরকারি নীতিমালা কঠোর করার সময় এসেছে। প্রকল্পের ক্ষেত্রে বা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ সফর স্বাভাবিক। তাদের সফরের হিড়িক বা চেষ্টা দেখে মনে হচ্ছে এটা হিস্টিরিয়ার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যেনতেন উপায়ে বিদেশ যাওয়াই যেন তাদের কারও কারও উদ্দেশ্য। প্রায়ই আমরা সংবাদ দেখতে পাই অমুক প্রকল্পে তমুকরা বিদেশ যেতে চান। এসব সংবাদে নতুন সংযোজন হয়েছে প্রথম আলোর এ খবরটি, ‘মাত্র আড়াই কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ জন্য আমেরিকা-কানাডা ও ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে যেতে চান ১৩ কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী। যাদের মধ্যে সাতজনেরই প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই’। এর আগে যেসব সংবাদ শিরোনাম হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : দেশের সব কারাগারে স্বজন লিংক স্থাপন অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা ও আর্জেন্টিনা যাচ্ছেন ১৩ কর্মকর্তা। আলু চাষ দেখতে ইউরোপে যাচ্ছেন ৪০ কর্মকর্তা। লিফট দেখতে সুইজারল্যান্ড ও স্পেনে যাচ্ছেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

ফ্ল্যাট দেখতে থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। গবেষক না হয়েও গবেষণা কাজে রাশিয়া ও মিসর সফরে ছয় কর্মকর্তা। ব্রিজ বিশ্বকাপে উৎসাহ দিতে দলের সঙ্গে তিন সরকারি কর্মকর্তা চীন গেলেন। প্রতিযোগীরা যেতে পারেননি, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আট কর্মকর্তা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। পুকুর খনন দেখতে ১৬ কর্মকর্তা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডস যেকোনো একটি দেশে যাচ্ছেন। বোয়িংয়ের একটি বিমান ডেলিভারি নিতে বাংলাদেশের ৪৫ জনের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। বেশ কিছুদিন আগে একনেক বৈঠকে প্রকল্পের অজুহাতে সরকারি কর্মকর্তারা যেন ‘অহেতুক’ বিদেশ সফর না করেন সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরও খবর বেরিয়েছে, ‘এক বছরে একজন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ৭৫ বার বিদেশ সফর করেছেন’।

এবার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। দু’দশক আগে একবার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তার সফরসঙ্গি হওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। ওই সফরে আরও ছিলেন বর্তমানে ওয়াশিংটন দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে কর্মরত শামিম আহমেদ ও ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমদ। আমরা কয়েক ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ শেষে গভীর রাতে হোটেলে চেক ইন করার সময় দেখি লিফটের গোড়ায় দুটি লাগেজ পড়ে আছে। মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাউস ঢাউস সাইজের দুটি স্যুটকেসে বাংলাদেশের পতাকার রঙে ভিআইপি ট্যাগ দেওয়া। দুদিনের সফরে আমি আলাদা কোনো ব্যাগ নেইনি। রিয়াজের ব্যাগেই আমার কিছু জিনিসপত্র চালান করে দিয়েছিলাম। শামিম ভাইকে বললাম এই ব্যাগগুলোর মালিক পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ব্যাগ তো আমাদেরই কারও। শামিম ভাই মুচকি হেসে বললেন, চুপ করো, হোটেল রুম আগে বুঝে নাও। সময়মতো মালিক এসে যাবে। পরদিন সকালে জানা গেলো ওই বিশাল দুটো স্যুটকেস বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মকর্তার। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফরগুলোতে গিয়ে অভ্যস্ত। তো দুদিনের সফরে এতো বড় বড় সাইজের ব্যাগ কেন? এ প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছিলাম না। তখন শামিম ভাই জানালেন, ওই ‘ভদ্রলোক’ তার পরিবাবের সদস্যদের ব্যবহার করা পুরনো কাপড়-চোপড় ব্যাগ ভরে নিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ায় ভিআইপি মর্যাদা পান। আর হোটেলে বিনা পয়সায় লন্ড্রি ব্যবহার করে এগুলো ধুয়ে বাড়ি নিয়ে যান। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়