অনির্বাণ আরিফ : হাসান আজিজুল হককে চেনেন? না ভাই। আরজ আলী মাতব্বর পড়ছেন? না ভাই। আচ্ছা হুমায়ূন আহমেদ তো পড়ছেন? হ্যাঁ। হুমায়ুন আজাদ? আসতাগফিরুল্লাহ। তিনি তো নাস্তিক ছিলেন। আহমেদ শরীফ? তিনিও নাস্তিক ছিলেন। আপনার প্রিয় লেখক কে? আরিফ আজাদ। আর? আয়মান সাদিক। এ ভাইটির নাম বলবো না। তবে এটুকু বলবো ইনি একটি স্থানীয় পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক। একটি সাহিত্য সংগঠনের পরিচালক। সাহিত্যে এম এ ডিগ্রি নিয়েছেন। একটি জাতির অনেকগুলো রিসোর্সের মধ্যে সাহিত্য একটি বড় রিসোর্স। যে জাতির সাহিত্য যতো সমৃদ্ধ সে জাতি ততোটাই সভ্য। উদাহরণ ফ্রান্স-জার্মানি। বাংলা সাহিত্য মোটামুটি সমৃদ্ধশালী। এক রবীন্দ্রনাথেই একটি বিশাল লাইব্রেরি। তিন বন্দ্যোপাধ্যায়, এক শরৎচন্দ্র, এক নির্জনতার কবি পড়তে পড়তেই তো এককাল কেটে যাবে। নজরুল, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ এই ত্রয়ী লেখকের কবিতায় আপনি ডুব দিলে মহাসমুদ্রের অতলের তল মনে হবে। হুমায়ূন আজাদ-আহমদ শরীফ আপনাকে নিয়ে যাবে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে। আর আরজ আলী না পড়লে তো আপনি চিন্তা বিষয়টিই বুঝলেনই না এবং কথাও যে একটি শিল্প এটা আপনি পাবেন হাসান আজিজুল হকের কাছে।
রকমারির পরিচালক সোহাগ। তার একটি প্রজেক্ট হলো বাংলা সাহিত্যকে ধর্মসাহিত্য বানানো। কবিতাকে সূরা বানানো। কথাশিল্পকে কেচ্ছা বানানো। আর উপন্যাসকে ওয়াজ বানানো। তার প্রজেক্ট অনেকটা সফল। তার প্রজেক্টের প্রথম প্রোডাক্ট আরিফ আজাদ। দ্বিতীয় প্রোডাক্ট আয়মান সাদেক। বাংলা সাহিত্য বলতে এখন অশুদ্ধ, ভুল, বাংলিব, বাংলিশ শব্দের মিশেলে কিছু কেচ্ছা টাইপ, কিছু উপদেশ টাইপ, কিছু বাণী টাইপ কথাবার্তা। আর এসবের যোগাদাতা, পরিবেশক, খদ্দের একই টাইপের চিন্তার একটি নিওÑ ফ্যাসিজম গ্রুপ। এ গ্রুপের সঙ্গে একটি বড় পলিটিক্যাল কমিউন্যাল কমিউনিটি কাজ করছে। যাদের কাজ হলো সাহিত্যকে ধর্ম সাহিত্য রূপদান তথা সাহিত্যর মুসলমানিকরণ। এ মুসলমানি করানোর জন্য প্রথমে দরকার সাহিত্যে ভাইরাস ক্রিয়েট করানো। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতি দুইটাতে চরম মাত্রায় ভাইরাস অ্যাটাক করানো হয়েছে, মনোঘাতী ভাইরাস। প্রাণঘাতী ভাইরাস আক্রমণ করলে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। কিছু মানুষকে বাঁচানো যায়। কিন্তু মনোঘাতী ভাইরাস আক্রমণ করলে একটি জাতি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা জাতি হিসেবে আজ সে মনোঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :