সিরাজুল ইসলাম: সরকারের নিয়োগ করা কমিটি সেখানে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। শুক্রবার বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইয়ন, রিয়টার্স
কমিটি জানুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সেখানে সংখ্যালঘু জনগণের উপর অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী বহুমুখী ভূমিকায় ছিলো। সেখানে মানবাধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়। এ জন্য সেনাবাহিনী দায়ী।
সেনাবাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, তারা প্রতিবেদনটির বিস্তারিত পড়েছেন। অভিযোগগুলো তারা পুনর্বিবেচনা ও তদন্ত করবেন।
সেনাবাহিনী বলছে, কমিটিকে গ্রামবাসী জানিয়েছেন- মুয়াং নু গ্রামে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। সেখানে ২০০ মানুষকে খুন করা হয়। আরেকটি গ্রাম চাট পুয়েনের একটি বাড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের মুখে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। মিয়ানমার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গণহত্যার অভিযোগ এনে হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। মিয়ানমার বলছে, নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর তাদের সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলো।
৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার জন্য রোহিঙ্গাদের দায়ী করেছে মিয়ানমার সরকারের নিয়োগ করা তদন্ত কমিটি। তারা এটাকে গণহত্যা বলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :