মশিউর অর্ণব: ২১ ফেব্রুয়ারি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দিল্লিতে আমার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। জানতাম হামলা হবে, মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হবে। তারপরও মানুষ এগিয়ে আসছেন, প্রতিবাদ করছেন, সেটাই বড় ব্যাপার। আনন্দবাজার
হুমকির বিষয়ে বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অরুন্ধতী রায় বলেন, হুমকি তো সবসময়ই থাকে। এখন দেশে বাকস্বাধীনতা নেই, একজন লেখককে প্রতিটি শব্দ লেখার আগে কয়েকবার ভাবতে হচ্ছে। এতে সংস্কৃতির ক্ষতি হচ্ছে, মুক্তচিন্তা থমকে যাচ্ছে। লেখক হিসেবে আমাদের কাজ প্রশ্ন তোলা, যেকোনো বিষয় নিয়ে কাটাছেঁড়া করা। অথচ, সবকিছু পেছন দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
ভারত জুড়ে মোদী বিরোধিতার পরেও জনগণের ভোটে বিজেপির ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটে জেতা দিয়ে সব কিছুর বিচার হয় না। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় বড় গলদ রয়েছে। আজকের প্রতিবাদ শুধু এনআরসি, সিএএ এর বিরোধিতায় নয়। অর্থনৈতিক মন্দা, শিক্ষার মানের অবনতি, সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি একদম ভয়াবহ।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে অরুন্ধতী রায় বলেন, সেখানকার সব ব্যবসা শেষ হতে বসেছে। গবেষকরা কাজ করতে পারছেন না। পর্যটন শিল্প ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ। কাশ্মীরে বর্তমানে প্রশাসন বলে কিছু নেই।
আপনার মতামত লিখুন :