এএইচ রাফি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান, মো. আনাসুর রহমান, মো. মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মোন্নাফ মাত্র ১৫ দিনে রোবটটি তৈরি করেছেন।
এ কাজে তাদেরকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন ইলেক্ট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) মো. আবুল কাশেম।
ইলেক্ট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের ল্যাবে বানানো রোবটটির জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এই টাকার সিংহভাগই যোগান দিয়েছেন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা। আর কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
৭ জানুয়ারি রোবট বানানোর কাজ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। টানা ১৫দিন কাজ করে পরিপূর্ণ রোবট বানাতে সক্ষম হন তারা। ২৩ জানুয়ারি রোবটটি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা।
মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল নামের এই রোবটটি মানুষের শরীরের রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ইসিজি, হার্টবিট, কোলেস্টরল, ইউরিক এসিড ও ব্লাড সুগার পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে সক্ষম। এজন্য রোবটটিতে যুক্ত করা হয়েছে বি.পি মনিটর, ই.সি.জি সেন্সর পালস্ অক্সিমেটরি সেন্সর, জি.সি.ইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার। আর চলাফেলা করার জন্য ক্যামেরা ও আল্ট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এসব ফিচার ব্যবহারও করা হয়েছে। সবকটি ফিচারই যথাযথভাবে কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। পালস্ অক্সিমেটরি সেন্সরে আঙ্গুল রাখলেই দেখা যাচ্ছে হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ। রোবটের হাতে থাকা থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরিমাপ করা যাচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ পরিমাপ যন্ত্র দিয়ে সহজেই জানা যাচ্ছে উচ্চ নাকি নিম্ন রক্তচাপ। এছাড়া জি.সি.ইউ সেন্সরের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কোলেস্টরল, ইউরিক এসিড, ব্লাড সুগার ও ব্লাড গ্রুপ।
মাদকাসক্ত কাউকে শনাক্ত করতে এবং আগুন লাগার খবর দিতে রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। রোবটটি যেকোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপস্ তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :