কাজী ফিরোজ, বোয়ালমারী প্রতিনিধি: বোয়ালমারী উপজেলার চাঁদপুরের বঙ্গেশ্বরদী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দানকৃত জমি ফেরত চাইছেন দাতার সন্তান। ওই সম্পত্তি তার পিতা স্কুলকে দান কিংবা বিক্রয় করেননি দাবি করে আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মল্লিক জানান, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সীমানা সংলগ্ন বঙ্গেশ্বরদীতে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলের মোট জমির পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। পাঁচটি রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে এসব জমি কেনা হয়। এর মধ্যে স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন জনৈক দুলাল সরকারের নিকট হতে ৩১ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে ক্রয় পরবর্তী মিউটেশন করা হয়। এই জমি দেখিয়েই স্কুলটি এমপিওভুক্ত হয়।
কিন্তু জমির মালিকানা বদলের দীর্ঘ ২ যুগ পর দুলাল সরকারের ছেলে দিলীপ সরকার তার পিতার স্বাক্ষরিত ওই দলিলকে অস্বীকার করে জমিটি এখনো তাদেরই বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয় সীমানায় ডোবা জমিটি তার পিতা বিক্রি করেননি। এ ব্যাপারে তিনি ফরিদপুর সহাকারী জজ আদালতে একটি মামলা দাখিল করেছেন। এর মধ্যে যেনো ওই ডোবা ভরাট না করে সেজন্য তিনি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের নিকট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরও একটি দরখাস্ত করেন।
এর প্রেক্ষিতে ফরিদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ মো. সজিব ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তবে সেখানে ডোবা ভরাটের কোনো আলামত না পেয়ে ফিরে যান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সরকারি বা খাস জমির স্বার্থ ছাড়া আমরা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না। বিষয়টি এখন আদালতের এখতেয়ারাধীন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. খায়ের মিয়া বলেন, দুলাল সরকার জীবিত থাকতে তার অনুরোধে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একটি রেজুলেশন হয়েছিলো যে, ওই ডোবার জমি স্কুল কর্তৃপক্ষ বিনিময়ে পার্শ্ববর্তী আমবাগানের জমি তারা ভোগ করবেন। তার অবদানের বিষয়টি মাথায় রেখে এজন্য আমরা ওই আমবাগানের জমিতে যেতাম না। কিন্তু তার অবর্তমানে তার অবদানকেই অস্বীকার করছেন তার সন্তান। ২৬ বছর যাবত ওই জমির সরকারি খাজনাও দিয়ে আসছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :