আবুল বাশার নূরু: শনিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
গত বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংকিং কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তারই প্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন করে সিপিডি।
সিপিডি বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের অর্ধেকই সরকারি ব্যাংকগুলোর। বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। একটা আতঙ্ক, ভয়ংকর, ভঙ্গুর পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আছি। খেলাপি ঋণ অব্যাহতভাবে বাড়ছে। আর লুকিয়ে আছে মূলধনঘাটতি, নিরাপত্তা সঞ্চিতির মতো আরও অনেক সূচক। আর এর ফলে মানুষের ব্যাংকে টাকা রাখার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সুদহার নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা দিচ্ছে, তার বরখেলাপ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ব্যাকিং কমিশনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের আলোকিত সমর্থন প্রয়োজন। ওনারা যদি এ কমিশনের ওপর একটি এনলাইটেন সাপোর্ট (আলোকিত সমর্থন) না দেন, তাহলে এ কমিশন শুধু একটি কমিশনই থেকে যাবে। ব্যাংক খাতের কার্যকর পরিবর্তনের সুযোগ হয়তো আসবে না। অর্থনৈতিক সমস্যা এক সময় রাজনৈতিক অর্থনীতি সমস্যায় উপনীত হয়েছিল। রাজনৈতিক অর্থনীতি সমস্যা এখন রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে গেছে। সুতরাং এখানে রাজনৈতিক সমর্থন বাদ দিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ যে সীমিত তা প্রমাণ পায় নতুন ব্যাংক দেয়ার মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন ব্যাংক হবে না, তারপরও নতুন তিনটি ব্যাংক হয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এমন মানুষকে ব্যাকিং কমিশনে আনতে হবে, যাদের দক্ষতা, যোগ্যতা, বিচক্ষণতা ও সততা থাকবে। তারা যাতে নির্মোহভাবে কাজ করতে পারেন, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের রাজনৈতিক সমর্থন দিতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তারা যে সুপারিশ করবেন, তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক উদ্যোগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, সিপিডি এই কমিশনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং তাদের মতামত তুলে ধরবে।
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি করে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার এ জাতীয় উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও এটা করতে পারি।
আপনার মতামত লিখুন :