শিরোনাম
◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৪:২৮ সকাল
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৪:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিলেন বশেমুরকৃবির তিন শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস বিল্ডিংয়ে এইয়ার-৪৬১ কৃষি ম্প্রসারণ বিষয়ের এফভিএমএএসের চতুর্থ বর্ষের (বি গ্রুপ) শিক্ষার্থীকে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। সময় টিভি

ব্যস্ততার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা নিতে না পেরে একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান রেখে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে বসালেন শিক্ষক। শহীদ দিবস ও মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরীক্ষা নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খোদ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই ক্ষুব্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ওই পরীক্ষা গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. এনামুল হক, প্রফেসর শেখ শামীম হোসেন ও বেগম ফারহানা ইয়াসমিন এ পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এই চূড়ান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা আরো আগেই নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এনামুল হক ও শেখ শামীম হোসেন স্যার ব্যস্ত থাকায় সম্ভব হয়নি।

পরীক্ষার হলে ওই দুই শিক্ষক সবার কাছে ব্যস্ততার কথা স্বীকার করেন। তারা বলেন, আমাদের কিছু করার নাই শিক্ষকরা পরীক্ষার যে তারিখ দিয়েছে, সেই কারণে আমাদের বাধ্য হয়েই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা সৈনিকদের অসম্মান করে পরীক্ষা নেয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের কথা বুকে ধারণ না করে জামাতপন্থী কয়েকজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাষা শহীদদের প্রতি অবমাননা ও রাষ্ট্রবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি তুলেন।

এসব বিষয়ে জানতে কৃষি স¤প্রসারণের প্রফেসর এনামুল হককে ফোন দেওয়া হলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে সময় সংবাদের প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়