আলাউদ্দিন সোহাগ : ২০১৮ সালের শেষের দিকে ইন্ডিয়া থেকে খুলনার পাইকগাছা পৌর সদরে একটি তীন ফলের গাছ এনেছিলেন পাইকগাছার হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন শখের বসে আনা সেই গাছটি তিনি তার কলাপাতা হোটেলের নিজ তৈরি ছাদ বাগানে টবে রোপণ করেন।
গাছটি রোপণ করলেও অনেকেই ধারণা করছিলো মরুভূমির এই গাছ পাইকগাছার লবণাক্ত মাটি ও আবহাওয়ায় টিকবে কিনা। কিন্তু নিরলস যত্ন ও পরিচর্যায় সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে ৩ বছরে তরতর করে বড় হয়েছে গাছটি। ফলও ধরেছে গাছে। প্রথম ফল এসেছে গাছটিতে। গাছটি দেখতে অনেক লোক আসছেন।
মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এ ফলের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা হয়। সৌদি আরব,কুয়েত, মিসরসহ আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে।
স্থানীয় আব্দুস সবুর মোড়ল বলেন, খুলনার পাইকগাছার লবণাক্ত আবহাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই গাছটি অন্যান্য গাছের মতোই বেড়ে উঠেছে। ফলের আকার ডুমুরের চেয়ে বড়, খেতে মিষ্টি ও রসালো বলে জানান তিনি।
আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি শখের বসে ২০১৭ সাল থেকে জায়গার অভাবে ছাদ বাগানের দিকে মন দেন। তিনি তার ছাদ বাগানে দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে যাচ্ছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :