শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৫:৩২ সকাল
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৫:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা, ব্যবহার ও ভাষার মর্যাদা ধরে রাখার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা আছে, দায় আছে প্রতিষ্ঠানেরও

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন : আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। মধুর সেই ভাষার মর্যাদা দিতে চাইছিল না পাকিস্তানিরা। লড়াই করে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছি। মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। কিন্তু রফিক, শফিক, সালাম, বরকতদের, জব্বারদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাষার মর্যাদা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। কারণ আমাদের উচ্চারণে, লিখনে যে বাংলা ভাষা এখন প্রচলিত, তা মানসম্মত নয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সব পর্যায় বাংলা ভাষার পরিচর্যার বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত। সরকারি ভাষায় বাংলা বিকৃত, বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহারে বাংলাভাষা অনেকটাই প্রমিত নয়। যার ফলে একটা নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলা ভাষার সঠিক মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছি এবং এর জন্য যার যে ভূমিকাটুকু পালন করার কথা ছিলো, সে ভূমিকা কেউ পালন করেনি।
উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে।

প্রতিবন্ধকতা হচ্ছেÑ মানসম্মত বাংলা পাঠ্যপুস্তক নেই। বাংলায় যে সমস্ত এ যাবৎ পাঠ্যপুস্তক বেরিয়েছে সেগুলো মানসম্মত নয় এবং যারা লিখেছেন অনেক ক্ষেত্রেই গুণ, মানহীন লেখকেরাই এসব লেখা লিখেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ী প্রকাশকেরা সেই বইগুলো বাজারজাত করেন। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বাংলাভাষার জ্ঞানও অত্যন্ত সীমিত। বিশেষ করে বর্তমানে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় যারা পড়াশোনা করছে তাদের ভাষাজ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। যে কারণে তারা শিক্ষার উচ্চপর্যায়ে এসেও মানসম্মত বাংলা লিখতে বা বলতেও পারছে না। কারণ প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মানসম্মত বাংলায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন না। ভাষার চর্চাও হচ্ছে না বা বাংলা ভাষার মাধ্যমে জ্ঞানচর্চাও সঠিকভাবে হচ্ছে না।
বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা, ব্যবহার ও ভাষার মর্যাদা ধরে রাখার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও ভূমিকা আছে, প্রতিষ্ঠানেরও দায় রয়েছে। বাংলা একাডেমি থেকে বাংলাভাষার মানসম্মত যে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয় তার সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করবার জন্য উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে, শিক্ষকদেরকে প্রণোদনামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষকদের দিয়ে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক লিখে নেওয়া দরকার। আর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদেরও প্রমিত বাংলায় বক্তৃতা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। আমাদের শিক্ষকদের ভাষাজ্ঞান অত্যন্ত সীমিত, সেখানেও একটা সমস্যা রয়ে গেছে। পরিচিতি : ইতিহাসবিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়