রিয়াজ সবুজ : বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি আয়োজিত বাংলাদেশের ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র অর্জনে বেরকারি খাতে ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপে একথা বলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
তিনি বলেন, টেকসই লক্ষ্যমাত্র অর্জনে জাতীয় সংসদে বছরে দুই বার আলোচনা হলে এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে। ধনী ও গরিবের মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে অনেকখানি। যাকে টেকসই অর্থনীতির বড় শত্রু। ২০১৫ সালের পর বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিখাতে দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপরিকল্পনার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন, বিদেশে অর্থপাচার, সামাজিক দায়বদ্ধতার দিকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেভাবে আমাদের উন্নয়ন করার কথা বলা হয়েছিলো সেভাবে সব খাতে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। এই লক্ষ্য যথাযথভাবে অর্জনের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যে শিক্ষা বাজার স্বীকৃতি দেয়না, সেই শিক্ষা সনদ অর্জন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী করতে হবে। সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কত জন ভর্তি হয় এই সংখ্যা নিয়ে আত্মতুষ্ঠি না থেকে উন্নয়নের লক্ষমাত্র নির্ধারণের জন্য গুরুত্ব দিতে হবে।
সংসদীয় স্থানীয় কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাথমিক ভর্তির ক্ষেত্রে প্রায় শতভাগ সাফল্য বাংলাদেশের। কিন্তু সমালোচনা হয়েছে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে। সেই দুর্নাম ঘোচাতে সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম হিসেবে, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের সক্রিয় অবস্থান। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কর্মকৌশলও নেয়া হয়েছে যার সুফলও আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :