শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ দুপুর
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একুশের দিনে ঢাবির মঞ্চে জহির রায়হানের ‘একুশের গল্প’

ওবায়দুর রহমান সোহান, ঢাবি প্রতিনিধি : নাট্যচর্চার নান্দনিক ও জ্ঞানতাত্ত্বিক ঐতিহ্য লালনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঞ্চস্থ করবে জহির রায়হানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত নাটক 'একুশের গল্প'।

বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ আল মেহেদী হাসানের নাট্যরূপ এবং নির্দেশনায় নির্মিত 'একুশের গল্প' নাটকটি ৮ ফাল্গুন ১৪২৬ / ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে।

সৈয়দ আল মেহেদী হাসান নির্দেশিত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মহিউদ্দিন চৌধুরী, দ্বিতীয় বর্ষের তরিকুল ইসলাম, তাহিয়া তাসনিম মিম, মহিউদ্দিন রনি এবং সালমান নূর।

‘একুশের গল্প’ নাটকে নেপথ্যে মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন তাহিয়া তাসনিম মিম ও সালমান নূর। আলোক প্রক্ষেপণ করবেন দিপম সাহা ও মুজাহিদুল ইসলাম ।

এছাড়াও নাটকে সংগীত পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় আছেন সালমান নূর, পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরি ও তাহিয়া তাসনিম মিম। দ্রব্যসম্ভার পরিকল্পনা ও প্রয়োগ করেছেন মহিউদ্দিন রনি, মহিউদ্দিন চৌধুরি, তরিকুল ইসলাম, তাহিয়া তাসনিম মিম, সালমান নূর। পাশাপাশি নাটকে রুপসজ্জা করেছেন তরিকুল ইসলাম।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে মেধাবী লেখক জহির রায়হানের এক অনবদ্য সৃষ্টি একুশের গল্প। এই গল্পের প্রেক্ষাপট ও চরিত্রগুলোই মূলত একে বিশেষ ও কালজয়ী করে তুলেছে।

মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন টগবগে তরুণ কীভাবে একটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের চেতনাকে বুকে ধারণ করে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন সেই বিষয়টি এ গল্পে পরিষ্কার ভাবে দেখা গিয়েছে ।

তপু, রেণু, রাহাত, ও জহির এ গল্পের প্রধান চরিত্র। রেণু, তপুর স্ত্রী। রেণু এ আন্দোলনে তপুকে অংশগ্রহণ করা নিয়ে বাধা দিলেও সেই বাধা তপুর জাগ্রত চেতনাকে রুখতে পারে নি।গল্পের এক পর্যায়ে দেখা যায় তপু এ আন্দোলনে শহীদ হন। এখবর তার মায়ের কানে পৌঁছাতেই তার মা পাগল প্রায় হয়ে যান এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুবরন করেন। এভাবে এই গল্পের সমাপ্তি ঘটে।

গল্পের নাট্যরূপ প্রসঙ্গে সৈয়দ মেহেদী বলেন, জহির রায়হানের এই গল্পকেই ভিত্তি করেই বর্তমান সামজের মানুষের চেতানাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়েই নাট্যরুপ দেওয়ার চিন্তা জাগ্রত হয়েছে। মূল গল্পের চরত্রগুলোর পাশাপাশি ডাপ পিয়ন নামে একটি চরিত্র সংযোজন করা হয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, নাটকের শেষ পর্যায়ে রাহাত, জহির এর নতুন রুমমেট সানু বিছানার নিচে ঝুড়ি থেকে স্কেলিটনের স্কাল বের করে এনাটমি বইর সাথে মেলাতে থাকে। ভাষা আন্দোলন এর মিছিলে তপুর মাথায় গুলি লেগেছিল এবং বা -পাঁয়ের টিবিয়া ফেবুলাটা দুই ইঞ্চি ছোট ছিল। এতে প্রমানিত হয় যে এটা তপুর কঙ্কাল। এমন সময় তপুর মা আসে। তবে মূল গল্পে শেষ পর্যন্ত তপুর মা মারা যায়। নাট্যরুপে আপাতদৃষ্টিতে তপুর মা, আমি তাকে সমগ্র মাতা, দেশ, ভাষা হিসেবে প্রতিরুপায়ণ করার চেষ্টা করেছি। মূলত এ নাটকের শেষ পর্যায়ে এই দেশের মানুষের চেতনাকে নতুন ভাবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যা তপুর মায়ের আর্তনাদ ও আগমনী বার্তার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার ভাবে পরিলক্ষিত হয়।

‘একুশের গল্প’ প্রসঙ্গে নাটকের নির্দেশক সৈয়দ আল মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সমাজের তরুণদেরকে একুশের চেতনায় জাগ্রত করতে জহির রায়হানের একুশের গল্প নাট্যরপ দিয়ে মঞ্চে আনার চেষ্টা করেছি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরে ১ডিসেম্বর বিভাগের রজত জয়ন্তী ও বার্ষিক নাট্য উৎসবে নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়