রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দোতলায় দরপত্র বাক্সের আশপাশ গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আগলে রেখেছেলিনে একদল যুবক। উপজেলার ৪২টি জলমহাল ইজারা তাঁদের পছন্দের লোকজনকে পাইয়ে দিতেই এ আয়োজন!
উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলা ১৪২৭ থেকে ১৪২৯ সন পর্যন্ত ৪২টি জলমহাল মৎস্যজীবির নিবন্ধন করা সংগঠন ও সমিতির লোকজনের কাছে ইজারা দিতে ৫ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করে উপজলো প্রশাসন। ১৮ ফেব্রুয়ারি দরপত্র কেনার শেষ দিন ছিলো। সেদিন পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি দরপত্র বিক্রি হয়।
গত বুধবার জমা দেওয়ার শেষ দিনে বাক্সে জমা পড়ে মাত্র ৮৪ টি দরপত্র। বাক্সে দরপত্র জমা না পড়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মৎস্যজীবী বলনে, ‘টেন্ডার বাক্স পাহারা থাকার কারনে তাঁরা দরপত্র কেনার পরও বাক্সে ফেলতে পারনেনি। আরেক মংস্যজীবি বলেন,দরপত্র কেনার দিনেও সিন্ডিকেট হয়েছে। বড় পুকুর গুলোর দরপত্র কিনতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিকার নিয়ে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ তাদের।
পুলিশ ও ইউএনও অফিসের লোকজনের সামনেই দরপত্র দাখিলে বাধা প্রদান করে একদল যুবক। বুধবার দরপত্র দাখিলের নির্দিষ্ট সময়ের আগে চোপড়া সমিতির পক্ষ থেকে দরপত্র দাখিল করতে আসেন মাহবুব নামে এক যুবক। তবে তাকে দরপত্র দাখিলে বাধা দেওয়া হয়।
মাহাবুব জানান,আমি দরপত্র দাখিল করতে গেলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। মাহবুব বাধা কে দিয়েছে তার নাম প্রকাশ না করার র্শতে বলনে, আমার দরপত্রের কাগজ খুলে দেখে তাদের সিন্ডিকেটকৃত পুকুরের নাম না থাকার সুবাধে আমাকে পরে দরপত্র দাখিলের সুযোগ দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের দোতলার সিড়িঁর পাশে বসে আছেন আট থেকে দশজন যুবক। ইউএনওর কার্যালয়ের দরজার পাশের বারান্দায় রাখা একটি দরপত্র বাক্স। বাক্সরে আশ পাশ ঘিরে রেখেছেনে একদল যুবক। আশপাশের কক্ষে সামনে আরও জনা চারেক যুবক দাড়িয়ে আছেন ।
সে সময় ইউএনও কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন যুবককে বসে থাকতে দেখে এই প্রতিবেদক তাঁেদর কাছে জানতে চান, আপনারা এখানে কী করছেন? জবাবে তাঁদের মধ্যে এক যুবক বলেন, ‘বড় ভাইরা আসতে বলেছেন বলে এসেছি। তাই সকাল থেকে বসে আছি।’ তবে বড় ভাইদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন তারা। দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে মৎস্যজীবিদের।
এ ব্যাপারে ইউএনও মৌসুমী আফরিদার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :