ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকার দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম বিতর্কের পর বগুড়া, যশোরসহ ৪টি উপ-নির্বাচনে ইভিএম থেকে পিছু হটলেও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে। এতে গোপন কক্ষে দলীয় কর্মীর উপস্থিতিসহ নানা অসঙ্গতির কারণে ডিজিটাল ভোট কারচুপির আশঙ্কা করছে বিএনপি। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, ইভিএমই ভোটগ্রহণের সর্বোত্তম পদ্ধতি। সময় টিভি
চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট পড়েছে মাত্র ২৩ শতাংশ। আর ঢাকা দুই সিটিতে পড়েছে ২৫ থেকে ২৭ শতাংশ। এ পদ্ধতিতে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় নানা বিতর্ক আর সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। এরপর বগুড়া, যশোর, গাইবান্ধা ও বাগেরহাটের উপনির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে। বিএনপি ডিজিটাল ভোট কারচুপির আশঙ্কা করলেও আওয়ামী লীগ বলছে ভিন্ন কথা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ব্যালট পেপারে যেমন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেরা জোর করে ভোট নৌকায় নিয়ে নিচ্ছে। এই ধারণা যেহেতু সবার হয়ে গেছে। এই ধারণা থেকে ভোটমুখী করা দায়িত্ব এখন ইসির।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হলে, আমরা সত্যিকারের নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত ভোট সম্পন্ন করতে পারব।
তবে দ্রুত ফলাফল পাওয়ার কথা উল্লেখ করে ইভিএমে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করে নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, যারা ইভিএমে ভোট দিয়েছে। তারা কিন্ত সন্তষ্ট প্রকাশ করেছেন। আর এ ইভিএমের মাধ্যমে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফলাফল দিতে পেরেছি। তাই চট্টগ্রামেও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট সম্পন্ন করতে পারলে সেখানে সুফল পাব।
তবে আইটি বিশেষজ্ঞরা ইভিএম পদ্ধতিকে নয়, দুষলেন এর অপব্যবহারকে।
আইটি বিশেষজ্ঞ রাজিব দাশ বলেন, ফোর্স যেখানে সেখানেই চাইলে করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে কেউ যেনো ফোর্স না করতে পারে সে রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘিরে রাখতে হবে। এখানে ইভিএমে কোনো দোষ তো বলা যাবে না। এ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের।
আগামী ২৯ মার্চ ৭২৪টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধির নির্বাচিত করবেন চট্টগ্রাম সিটির ১৯ লাখ ভোটার।