মাহফুজুর রহমান : অনেকেই অনেক কথা ভাবতে পারেন বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে, তবে আমার ভাবনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। পর্দার আড়ালে অনেক আলোচনাই হচ্ছে, ইভেন সরকারের উচ্চ মহলের অন্তত দুইজনের সঙ্গে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলেও বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে বিএনপির উচ্চ লেভেলের দুই-চারজন নেতার সঙ্গে। তবে সব আলোচনায় তারেক জিয়াকে বাদ দিয়ে। কী আলোচনা হচ্ছে? শেখ হাসিনাও জানেন যে এখানে এন্টি আওয়ামী লীগ একটি সেন্টিমেন্ট আছেই। তিনি আরও জানেন যে, বিএনপি-জাপার মতো দলের সঙ্গে বোঝাপড়া না করলে হয়তো মৌলবাদীদের উৎপাত বেড়ে যাবে। এসব আমেরিকা-ইউরোপের রাষ্ট্রদূতেরাও জানেন আর সেই কারণেই তারাও একটি ফয়সালা চাচ্ছে। আর তাছাড়া শেখ হাসিনা নিজেও একদলীয় শাসন চান না, চাইলে তিনি পিতার বাকশাল চালু করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করবেন না। কারণ পিতার চাইতেও তিনি বুদ্ধিমান। কিন্তু যতোটুকু স্বৈরাচারী মনোভাব তিনি দেখান তা অনেকটা বাধ্য হয়েই। শেখ হাসিনা নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানবিক। তিনি অনুসন্ধানে আছেন যে কীভাবে দেশে একটি ভালো গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা যায়।
হ্যাঁ হয়তো বেগম জিয়াও শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রায় একমত হতে চলেছেন। তাই তারেককে বাইপাস করে তিনি করণীয় ঠিক করতে চাইছেন। হ্যাঁ বেগম জিয়া প্যারোল পাবেন মার্চের প্রথম সপ্তাহের ভেতরেই, তবে এখনো আলোচনা চলছে। হয়তো বেগম জিয়া তাতে রাজিও হয়ে যাবেন। চলে যাবেন সৌদি আরবে চিকিৎসার জন্য। তবে সব কিছুই সরকারের এ থাকবে। হ্যাঁ বেগম জিয়া রাজনীতি করবেন, তবে আগের মতো মারদাঙ্গা টাইপের নয়। এটা বেগম জিয়াও চাইছেন যে দেশে কীভাবে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র আনা যায়, তবে থাকবে না হিংসাত্মক কিছু। হয়তো পেছনের দিকে কেউ ফিরে তাকাতে চান না, এগোবেন সামনের দিকে, বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চান যে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। হয়তো বেগম জিয়া বিদেশে যাবেন সরকারি খরচেই, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েই। খালেদা জিয়া নিজের ছেলেকে আর বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন এই দেশের জনগণকে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :