লাইজুল ইসলাম : বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম। তাদের সহযোগিতায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়। অভিবাসনের প্রবণতা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক এ গবেষণা পরিচালনা করেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হাসান ইমাম ও আসিফ মুনির। গবেষকরা জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
গবেষণায় দক্ষতার মাপকাঠিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- অদক্ষ, আধা দক্ষ, দক্ষ এবং প্রফেশনাল। গবেষকরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বেশিরভাগ বাংলাদেশি নাগরিক কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জণ ছাড়াই বিদেশে যেতে চান।
গবেষণায় উঠে এসেছে, পুরুষরা কর্মসংস্থাণের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও পারিবারিক জীবনমান উন্নয়নে অভিবাসনের পথ বেছে নেন। অর্থ সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য, সুরক্ষিত কর্মসংস্থান ও নিরাপদ ভবিষ্যতের আশায় তারা বিদেশে পারি দেন। আর নারী কর্মীদের অনেকে, স্বামীর বিচ্ছেদ, স্বামীর মৃত্যু ও অর্থ আয়ের জন্য বিদেশ যেতে বাধ্য হন। বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র নারীরা মধ্যসত্বভোগীদের দ্বার বিভ্রান্ত হন।
এতে আরও বলা হয়, অভিবাসনের জটিল প্রক্রিয়া ও উচ্চ অভিবাসন ব্যয় কর্মীদের স্বপ্ন পূরণে প্রতিবন্ধকতা। গবেষণার জন্য জরিপ চালানো হয় ১২৫ জনের ওপর। এর মধ্যে বিদেশফেরত ও অভিবাসন প্রত্যাশী ৩৯ জন পুরুষ, বিদেশ ফেরত ও অভিবাসন প্রত্যাশী নারী ২৩ জন, শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ থেকে ফেরত আসা পুরুষ কর্মী ১৫ জন, মধ্যস্বত্যভোগী বা দালাল দুই জন, অভিবাসী কর্মী পাঁচ জন, অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছয় জন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব পাঁচ জন, এছাড়া অন্যান্য ২০ জন যারা বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :