মশিউর অর্ণব: আসামের বক্সা জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ নারী জাবেদা বেগম। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আসাম হাইকোর্টে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। মামলার খরচ জোগাতে বিক্রি করেছিলেন নিজের শেষ সম্বল তিন বিঘা জমিটিও। কিন্তু এত কিছুর পরেও নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত গুয়াহাটি হাইকোর্ট জাবেদা বেগমকে ‘বিদেশি’ হিসেবেই ঘোষণা করেছে। এনডিটিভি, ন্যাশনাল হেরাল্ড
২০১৮ সালে প্রথমবার জাবেদাকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলো আসামের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল। এরপর জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতেও নাম ওঠেনি তার। নাগরিক পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য টানা এক বছর আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে আদালতের কাছে ভোটার আইডি কার্ড, বিয়ের দলিল, ব্যাংকের নথি, প্যানকার্ড, রেশনকার্ড, গ্রামপ্রধানের হলফনামাসহ মোট ১৫টি প্রমাণপত্র জমা দিয়েছিলেন জাবেদা৷ কিন্তু এত কিছু করেও নাগরিকত্ব ফিরে পাননি তিনি।
নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য পরবর্তী এবং সর্বশেষ আইনি পদক্ষেপ হিসেবে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করতে পারবেন জাবেদা। কিন্তু নতুন করে আইনি লড়াই চালানোর মতো আর্থিক অবস্থা তার নেই। কান্নাভেজা কন্ঠে জাবেদা বলেন, ‘আমার যা ছিলো, তার পুরোটা খরচ করেই এতদিন মামলা চালিয়েছি। এখন আমার কাছে নতুন করে মামলা চালানোর মতো আর কোনো অর্থসংস্থান নেই।’
আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় ১৯ লাখ মানুষ। জাবেদা বেগমের মতো আরো অনেকেই রাতারাতি নিজ রাজ্যে ‘বিদেশি’ হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :