এম এ হালিম, সাভার প্রতিনিধি : প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের পৃথক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ছিনতাই ও হত্যারকাণ্ড ঘটানোর বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত একসংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার সরদার কান্দিগ্রামের মুকিত খানের ছেলে মো. শাহিন @ সুহিন খান (৩৪) এবং মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার পূর্বমাইজপাড়া গ্রামের ইস্কান্দার আলীর ছেলে মো. মুর্তুজা (৩৪)।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন,গত ৯ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শ্রী লিটনমাহাতোকে কৌশলে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে হাত-পা বেঁধে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্য।
এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করার হলে ঢাকাজেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-২ পোষ্ট অফিসের সামনে থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ মো. মুর্তুজাকে গ্রেপ্তার করে। একই দিনরাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি অভিযানিক দল চাঁদপুরের সরদারকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মো. শাহীন @ সুহিন খানকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা গত ১৮ আক্টোবর মানিকগঞ্জের বাসিন্দা নিরাপত্তা কর্মী আলাউদ্দিনকে (৪৫) যাত্রী হিসেবে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে টাকা পয়সা না দেয়ায় মারধর ও হত্যা করে ধামরাইয়ের জয়পুরা এলাকার পাল সিএনজি পাম্পের পার্শ্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহেরের বাড়ির কাছে ফেলে দেয়। একইভাবে মো. আবু নাঈম (৫৪) ও তার চাচাতে ভাই বেলায়েত হোসেনকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে হাত-পা বেঁধে এটিএম কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা এবং বেলায়েতের মোবাইলের বিকাশ এ্যাকাউন্ট থেকে পঁচিশ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় চক্রটির সদস্যরা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ