রাশিদ রিয়াজ : দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। অত্যাচারের জেরে কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। তারপর অবর্ণনীয় জীবন কাটাতে হয়েছে। এবার নতুন করে আশার আলো দেখছেন তাঁরা। মঙ্গলবার কয়েকটি দাবি নিয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য দশটি উপনগরী এবং জঙ্গিদের দ্বারা ধ্বংস ও অপবিত্র হওয়া মন্দিরগুলির সংস্কার-পুনর্গঠনের আশ্বাস মিলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে। বাস্তুচ্যুত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিষয়টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শাহ।
এদিন প্রতিষ্ঠিত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধিদল অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে। সেই দলে ছিলেন উৎপল কাউল, কর্নেল তাজ টিক্কু, ড. সুরিন্দার কাউল, সঞ্জয় গাঞ্জু, পরীক্ষিৎ কাউলের মতো ব্যক্তিত্ব। শাহের সঙ্গে দেখা করে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করায় ধন্যবাদ জানান তাঁরা। কাশ্মীর উপত্যাকায় ফিরে তাঁরা যাতে সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারেন, সে বিষয়েও অনুরোধ জানিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। পরে সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, কাশ্মীর উপত্যকার দশটি জেলাতেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য উপনগরী তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছেন শাহ। ধ্বংস হওয়া মন্দিরগুলিরও সংস্কার করা হবে। তাঁদের জন্য সরকারি চাকরিতে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার জন্য সরকার নির্দিষ্ট প্রস্তাব আনবে।
উল্লেখ্য, আটের দশকের শেষে কাশ্মীরে চরম পর্যায়ে ওঠে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ৷ পৈশাচিক রূপ ধরে সাম্প্রদায়িকতা৷ পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নারকীয় হত্যালীলা চালায় কাশ্মীরি পণ্ডিত ও শিখ সম্প্রদায়ের লোকেদের উপর৷ পুরুষদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়৷বাধা দিলে করা হয় নির্বিচারে হত্যা৷ প্রাণ ও ধর্ম বাঁচাতে প্রায় ১ লক্ষ্ কাশ্মীরি পণ্ডিত নিজেদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন দিল্লি সহ অন্যান্য জায়গায়৷ যদিও কেন্দ্র সরকার বহুবার তাঁদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের ধমকানিতে তা বাস্তবে পরিণত হয়নি৷ সংবাদ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :