শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে মসজিদের আয় থেকে পরিচালিত হয় সামাজিক কর্মকাণ্ড

দৈনিক অধিকার : মসজিদটির অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এটি। যার পুরো নাম- ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স।’ বিগত তিন মাসের ব্যবধানে এই মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। টাকার ভাঁজে ভাঁজে আরও পাওয়া গেছে চাঁদ-তারা খচিত স্বর্ণ ও রুপার অলংকারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রা। মসজিদ কমিটির সূত্রে জানা গেছে, প্রতি তিনমাস পরপর এই মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। প্রতিবারই পাওয়া যায় এমন বিপুল পরিমাণ দান।

তবে সবচে বড় কথা হলো, মসজিদের এমন বিপুল আয় থেকে শুধু যে নিজস্ব খাতের উন্নয়ন হয় তা নয়; বরং এখান থেকে স্থানীয় এতিমখানা, মাদরাসা, জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবাসহ আর্থিক বিভিন্ন সাহায্য ও সামাজিক, মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।

গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। পরে সন্ধ্যায় গণনা শেষে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ওই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সে সময় দানবাক্সগুলো থেকে মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া যায়। সেই হিসেবে এবার ৬৬ হাজার ১০০ টাকা কম দান পড়েছে। এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও ডলার, রিয়ালসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার অন্যবারের চেয়ে এবার পরিমাণে বেশি পাওয়া গেছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলে প্রতিবারই রীতিমতো সবার চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। দানবাক্সগুলো থেকে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার হাজার হাজার কচকচে নোট। পরে টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ। যা চলতে থাকে দিনব্যাপী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে দেখার জন্য শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দিন মসজিদে ভিড় জমান। সাধারণ মুসল্লিদের অনেকের ধারণা, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। তাই দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এই মসজিদে এসে দান করে থাকেন।

শুধু মুসলিমরাই নন অন্য ধর্মের মানুষেরাও মনের আশা পূরণের জন্য এখানে দান করে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়