আসিফুজ্জামান পৃথিল : ১৯৫৬ সালে এশিয়ান ফ্লুতে ১০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ২০০২ সালে সার্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০৯৪ জন, মৃত্যু হন ৭৭৪ জন। এর ১০ বছর পর প্রাদুর্ভাব ঘটে এইচ ৭ এন ৯ ভাইরাসের। এতে আক্রান্ত হন ১ হাজার ২২৩ জন। অতি সম্প্রতি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজার জন। মারা গেছেন ১৭৭১ জন। এই সবগুলো রোগেরই উৎপত্তিস্থল চীন। রিয়েলক্লিয়ার সায়েন্স
এ বিষয়ে বিখ্যাত রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. স্টিভেন নভেলা বলেন, ‘কেনো চীন থেকেই এই রোগ ছড়াচ্ছে তা বড় ধরনের রহস্য নয়। চীন খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। তারা খুব বেশি বন্য জন্তুর সংস্পর্শেও আসে। দেশটির প্রাণী বৈষম্যও কম নয়। এটাই মূলত এভাবে রোগ ছড়ানোর প্রধানতম কারণ।’
মধ্য দক্ষিণ চীনকে সবসময়েই বলা হয়, ভাইরাসের বসতভূমি। ২০১৬ সালে এটি নিয়ে প্রথম কথা বলেছিলেন ইকোহেলথ অ্যালায়েন্স এর প্রেসিডেন্ট ড, পেতার দাসজাক। এই অঞ্চলে প্রচুর পশুপালন হয়। কিন্তু সেখানে পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা অত্যন্ত বাজে।
বিশেষত মাছ মাংসের বাজারগুলোর পরিবেশ খুবই খারাপ। বাতাস সবসময়েই আর্দ্র থাকে। এবং এটিই বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য আদর্শ পরিবেশ। এই পরিবেশে ভাইরাসগুলো সহজেই এক পোষক থেকে আরেক পোষকে চলে যায় এবং অভিযোজিত হয়। এ কারণেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে চীন ২০ জানুয়ারি অস্থায়ীভাবে বন্য পশুর ব্যবসা নিষিদ্ধ করে।