শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কটে চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক : নোভেল করোনা ভাইরাস। বর্তমান বিশ্বে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস একটি বড় আতঙ্কের নাম। চীন উহান প্রদেশ থেকে শুরু হয়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। নতুন করে চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২ হাজার ৪৮জন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৫শ ৪৮জন। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সেখানে রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বেশ আতঙ্কেই দিন কাটছে তাদের। রোববার মোবাইল ফোনে কথা হয় চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশি আরেক শিক্ষার্থী সুমন আহমেদের সঙ্গে। ইত্তেফাক

সুমন বর্তমানে অবস্থান করছেন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। তিনি বেইজিং নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

সুমন আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তারা আগের তুলনায় বর্তমানে আমাদের বেশি সেফটি ও সিকিউরিটির ব্যবস্থা করেছেন। আমরা যেন ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে না পারি এবং বাইরে থেকে কেউ আমাদের এখানে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য ক্যাম্পাসের মেইন গেট লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। খুব জরুরি কাজে আমরা যদি বাইরে যাই তাহলে ছাড়পত্র নিয়ে বের হতে হচ্ছে। আমরা যখন ডরমেটারি থেকে বের হই, তখন আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বের করা হয়। এবং ঢোকার সময়ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

খাবারের বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের ক্যাম্পাসের ভেতর একটি ক্যান্টিন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করতে বলেছেন। যারা আমাদের রুম সার্ভিস করেন তারা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এক ধরণের ওষুধ আমাদের রুম স্প্রে করছেন। যাতে করোনা ভাইরাস আমাদের মাঝে না ছড়ায়। এছাড়া তারা আমাদের জন্য থার্মোমিটার ও মাস্কের ব্যবস্থা করেছেন। সবসময় আমাদের জ্বরের তাপমাত্রা কতো তা অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।

সুমন জানান, আমাদের এখানে সব থেকে বড় সমস্যা হলো খাবার পানির। কারণ আমরা যাদের কাছ থেকে পানি সরবরাহ করতাম তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। এজন্য মেইন গেট থেকে অনেক কষ্ট করে আমরা পানি নিয়ে আসছি।

বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি থেকে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া হট লাইনে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলমান রয়েছে।’

বাংলাদেশে কিছু পত্রিকা থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেটা আসলে কাম্য নয়। তাই নিজেদের জায়গা থেকে আপনারা সচেতন হউন। করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত কোন নিউজ কাউকে দেয়ার আগে কিংবা শেয়ার করার আগে আপনারা সেটি সম্পর্কে নিজে জানুন এরপর শেয়ার দিন। কারণ এসব গুজব ছড়ানোর কারণে আমাদের দেশের বড় ক্ষতি হতে পারে।

চীনে এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলেও জানান বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়