স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতার পরের এই দৃশ্য ২০ বছরের সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের লড়াইয়ে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিলো বার্লিনে। সোমবার ২০১৯ সালের লরিয়াস ক্রীড়া পুরস্কার দেয়া হয়েছে। সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের সম্মান জেতেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।
টেনিসের কিংবদন্তি বরিস বেকার একশো সেঞ্চুরির মালিকের নাম ঘোষণা করেন। শচীনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তার একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী স্টিভ ওয়াহ।
ট্রফি হাতে শচীন বলেন, ‘এই অনুভূতি অবিশ্বাস্য। বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। খুব কমই এমন ইভেন্ট হয়, যখন গোটা দেশ আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে। আর এটাই প্রমাণ করে খেলাধুলো সত্যিই শক্তিশালী এবং মানুষের জীবনে তা ম্যাজিকের মতো প্রভাব ফেলে।’
🔈 Sound on 🔈
A powerful, strong and moving tribute to a room full of sporting legends from @sachin_rt in honour of Nelson Mandela and the incredible power of sport to unite and inspire 👏#Laureus20 #SportUnitesUs pic.twitter.com/0z3mNatUFh
— Laureus (@LaureusSport) February 17, 2020
ট্রফি হাতে বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি শচীনকে শেয়ার করতে বলেন জার্মান টেনিস কিংবদন্তি। স্মৃতিচারণ করে শচীন বলেন, ‘১৯৮৩ সালে আমার বয়স ১০ বছর। সেই বছরই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিলো। ওই বয়সে বিশ্বকাপ জেতার তাৎপর্য আমি বুঝতে পারিনি। সবাই আনন্দ করছিলো তাই আমিও সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। কিন্তু এটা যে দারুণ একটা সাফল্য, তা বুঝতে পারছিলাম। মনে মনে তখনই স্থির করেছিলাম আমিও কোনো একদিন এমন কোনও মুহূর্তের সাক্ষী হবো।’
[caption id="" align="aligncenter" width="679"] ২০১১ সালের বিশ্বকাপের মুহূর্ত[/caption]
তার পর থেকেই সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটে যান শচীন। তার সেই স্বপ্ন সত্যি হয় ২০১১ সালে। শচীন বলেন, ‘বিশ্বকাপ হাতে আমি, এটা আমার জীবনের সব চেয়ে গর্বের মুহূর্ত। ২২ বছর ধরে আমি একটা স্বপ্নের পিছনে ছুটে গিয়েছি। কখনও আশা হারাইনি। গোটা দেশের হয়ে সে দিন আমি ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছিলাম।’
আপনার মতামত লিখুন :