নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে সাত চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত সাড়ে আটটায় অভিযান চালিয়ে জেলার অভয়নগর ও গোপালগঞ্জ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম। আটককৃতরা হলো, অভয়নগর উপজেলার বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রেমবাগ গ্রামের সৈয়দ পাড়ার সৈয়দ মোক্তার হোসেনের ছেলে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রানা, মৃত শাহজাহান সিনার ছেলে আজাদ রহমান, মৃত. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম মন্টু, একই উপজেলার প্রেমবাগের মৃৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে পিন্টু, মৃত. শামসুর মোল্যার ছেলে জিয়ার মোল্যা, ছেলে আল আমিন, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার চর বয়রা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে অভয়নগর উপজেলার বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরি হাবিবুর রহমান।
প্রেসব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগে তমা কন্সট্রাকশনে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আলভী ট্রেডার্স নামক কোম্পানী জ¦ালানী তৈল (গ্রীন ওয়েল) সরবরাহ করে আসছিল। অভয়নগর উপজেলার বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রানার গং গ্রীন ওয়েল বহনকারী ট্রাংকলরি আটক করে চাঁদা দাবি ও আদায় করেছিল। ট্রাংকলরী আসা যাওয়ার তথ্য সরবরাহ করতো অভয়নগর উপজেলার বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরি হাবিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ফেব্রæয়ারি আলভি ট্রেডার্সের ট্যাংকলরি চালক ও কর্মচারীকে আটক করে ট্রেডার্সের মালিক ও ম্যানেজার নিকট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি আলভি ট্রেডার্সের ম্যানেজার আমির হোসেন ইমন ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মৌখিক ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। ইমনের অভিযোগের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৮ টায় যশোর ডিবি পুলিশের ২ সদস্য ছদ্মবেশে ইমনাকে সাথে নিয়ে দুস্কৃতকারীদের দাবিকৃত টাকা নিয়ে যায়। রানার অফিসে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়। এসময় চাঁদাবাজরা আরো টাকা দাবি করে। বিষয়টি ডিবি পুলিশ গোপনে ভিডিও করে ও ৭ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল অভয়নগরের বনগ্রাম স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান । তার নেতৃত্বে দীঘদিন চক্রটি চাঁদাবাজি করে আসছিল । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসসের নামে চাঁদাবাজরা একবছরে গাড়ি প্রতি ৭ হাজার টাক করে চাঁদা আদায় করে আসছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মারুফ আহমেদসহ উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা।